দীর্ঘদিনের বন্ধু, যাকে তিনি বোনের মতো মনে করেন, তার বিয়েতে নিমন্ত্রণ না পাওয়ার কারণে এক নারী মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছেন। ১৫ বছরের বন্ধুত্বের পর বিয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে বাদ পড়ায় তিনি দ্বিধায় পড়েছেন—বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলবেন, নাকি চুপ করে থাকবেন?
ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন ওই নারীর বন্ধু তাকে বিয়ের অনুষ্ঠানে ‘ব্রাইডমেইড’ হওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। দুই বন্ধু দীর্ঘদিন ধরে আলাদা থাকলেও তাদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। বিয়ের দিনক্ষণ নিয়ে বন্ধুর কাছ থেকে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি, তবে একটি আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করা হচ্ছিল, যেখানে একটি সুন্দর ভেন্যুতে (elegant venue) আনুষ্ঠানিকতা ও পরে ভোজের আয়োজন থাকার কথা ছিল।
ওই নারী অন্যান্য ব্রাইডমেইডদের সঙ্গে মিলে একটি ব্যাচেলরেট পার্টিরও আয়োজন করছিলেন, যেখানে তার কিছু আর্থিক সহায়তা ছিল।
কিন্তু গত সপ্তাহে তিনি জানতে পারেন, তার বন্ধু এরই মধ্যে কিছু ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে একটি আইনি বিয়ে সেরে ফেলেছেন। বন্ধুদের মধ্যে যারা বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন, তাদের অনেকেই বিষয়টি গোপন রেখেছেন। এখন গ্রীষ্মকালে তারা একটি বড় অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করছেন, যেখানে কনেপক্ষ সাজসজ্জা, পোশাক ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা পালন করবে।
ওই নারী জানান, বিয়ের অনুষ্ঠানে তাকে আমন্ত্রণ না জানানোয় তিনি বেশ হতাশ হয়েছেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন, তার স্বামী ও সন্তানদের নিয়ে মূল অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা ছিল।
এখন সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ায় তিনি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। তিনি তার বন্ধুদের কাছে পরামর্শ চেয়েছেন—এমন পরিস্থিতিতে তার কী করা উচিত? তিনি যদি মুখ খোলেন, তবে তাদের বন্ধুত্বে কি কোনো প্রভাব পড়বে?
বিষয়টি নিয়ে অনলাইনে আলোচনা শুরু হলে অনেকে ওই নারীর প্রতি সহানুভূতি দেখান। কেউ কেউ মনে করেন, এমন পরিস্থিতিতে তার বন্ধুর সঙ্গে কথা বলা উচিত, আবার কেউ কেউ মনে করেন, চুপ থাকাই ভালো।
অনেকে পরামর্শ দিয়েছেন, যেহেতু বিয়ের মূল আনুষ্ঠানিকতা এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে, তাই এখন বেশি কিছু বলার প্রয়োজন নেই। তবে ব্যাচেলরেট পার্টিসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া উচিত কি না, সে বিষয়েও ভিন্নমত পাওয়া যায়।
বন্ধুত্বের গভীরতা ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার ক্ষেত্রে এমন ঘটনা নিঃসন্দেহে হতাশার সৃষ্টি করে। আপনি যদি এমন পরিস্থিতিতে পড়তেন, তবে কি করতেন?
তথ্য সূত্র: পিপল