ব্রিটিশ কমেডিয়ান পল চৌধুরীর রবিবার: বাজার, রান্না আর ইউটিউব-এর দিন।
হাসির জগতে পরিচিত মুখ পল চৌধুরী। ব্রিটিশ এই কমেডিয়ানের জীবন কেমন কাটে? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের একটি সাধারণ, তবে উপভোগ্য রবিবারের চিত্র তুলে ধরেছেন তিনি।
লন্ডনের বাসিন্দা পল জানান, তাঁর একটি আদর্শ রবিবার শুরু হয় স্থানীয় কৃষকদের বাজারে (ফার্মার্স মার্কেট) যাওয়ার মধ্য দিয়ে।
পল চৌধুরী বলেন, “আমি এখন মধ্যবিত্ত হয়ে গেছি, তাই উত্তর লন্ডনের ওই বাজারে যাই। সেখানে স্মোকড ট্রাউট (এক ধরনের মাছ), অর্গানিক মুরগি, ফ্যাজেন্ট (এক প্রকার বন্য পাখি) ও নানান সবজি কিনি। সাথে অবশ্যই পছন্দের চাইনিজ চিলি অয়েল তো থাকেই।”
বাজারে যাওয়ার জন্য তিনি সাধারণত একটি ইলেক্ট্রিক বাইক ব্যবহার করেন।
রান্না করার প্রসঙ্গে পল জানান, তিনি একা থাকেন, তাই রান্না করাটা তাঁর জন্য প্রয়োজনীয়। “সকালে বড় একটা ‘ব্রাঞ্চ’ করি, তারপর ইউটিউবে ভিডিও দেখি।”
পল যোগ করেন, “এখন তো ইউটিউবে এত কিছু, যে কোনটা দেখব, সেটাই বুঝি না! কিছুক্ষণ স্ক্রল করি, তারপর হয়তো জিমে যাই।”
তবে জিমটাও তাঁর কাছে খুব একটা আনন্দের নয়। পল হাসতে হাসতে বলেন, “রবিবার দিন জিমে যাই কিছু ‘একাকী’ মানুষের সঙ্গে, যাদের হয়তো বন্ধু নেই!”
সকালের এই ব্যস্ততার পর সন্ধ্যায় পল বাজার থেকে কেনা জিনিস দিয়ে রাতের খাবার তৈরি করেন। তিনি বলেন, “আমি ফ্রিজে ভরে ফেলার আগে ভাবি, ‘আগে এটা খেয়ে নিই’। চিকেন এয়ার ফ্রাই করে, আলু সেদ্ধ করি, সঙ্গে টমেটো তো থাকেই। ব্যস, তৈরি!”
তবে সব সময় যে তাঁর রান্নার সুযোগ হয়, তা নয়। কারণ, তিনি প্রায়ই বিভিন্ন শো-এর জন্য ট্যুরে থাকেন। ট্যুরে থাকলে স্থানীয় কোনো ভারতীয় বা তুর্কি রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার আসে, যা তিনি খান।
বাড়ির পরিচ্ছন্নতা নিয়ে পল জানান, তাঁর পরিছন্নতাকর্মী এখন আর কাজ করেন না। “আমি একটু বেশিই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে পছন্দ করি। আমার বাড়ি এতটাই পরিষ্কার যে, তেমন কিছুই করার থাকে না।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আমার একটা ডাইসন ভ্যাকুয়াম ক্লিনার আছে। যদিও এটা অনেক দামি, তবে কাজটা ভালো করে।”
নিজের ছোটবেলার রবিবারগুলোর কথা বলতে গিয়ে পল জানান, “ছোটবেলায় উত্তর লন্ডনের একটি মন্দিরে (temple) যেতাম। এরপর পরিবারের সবাই মিলে একসাথে বসে ভারতীয় খাবার খেতাম।
এখন যখন বয়স বাড়ে, তখন মনে হয়, সেই দিনগুলো যেন হারিয়ে গেছে, আর এখন আমি একা।”
বর্তমানে পল চৌধুরী ‘Englandia’ শিরোনামে একটি ট্যুর করছেন, যা মে মাসের শেষ পর্যন্ত চলবে।
তথ্য সূত্র: The Guardian