টিকটক ভিডিওর জন্য এত ঘৃণা! মুখ খুললেন রাগবি তারকা!

ওয়েলস মহিলা রাগবি খেলোয়াড় জ্যাজ জয়েস-বাচার্স সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর প্রতি হওয়া কটূক্তির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। ইংল্যান্ডের কাছে তাঁর দল হেরে যাওয়ার পর, একটি টিকটক ভিডিও পোস্ট করার জন্য তিনি তীব্র সমালোচনার শিকার হন।

খেলার ফলাফল নিয়ে হতাশ হওয়ার পাশাপাশি, খেলোয়াড়দের প্রায়শই অনলাইনে ব্যক্তিগত আক্রমণের শিকার হতে হয়, যা খেলার জগৎ এবং তার বাইরের মহিলাদের জন্য একটি গুরুতর উদ্বেগের বিষয়।

জয়েস-বাচার্স জানান, খেলা শেষে তিনি যখন একটি টিকটক ভিডিও তৈরি করেন, তখন অনেকেই তাঁর আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কেউ কেউ তাঁকে উপহাস করে এবং তাঁর শারীরিক গঠন নিয়েও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে।

এই ধরনের মন্তব্য যে তাঁকে হতাশ করে, তা তিনি স্পষ্ট করেছেন। তিনি বলেন, “আমি হাসিখুশি থাকতে পছন্দ করি এবং সমর্থকদের সঙ্গে মিশতে ভালোবাসি, কিন্তু এর মানে এই নয় যে আমি সবসময় ভেতরেও খুশি থাকি।”

সোশ্যাল মিডিয়ায় বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্যের শিকার হওয়াটা জয়েস-বাচার্সের জন্য নতুন কিছু নয়। খেলোয়াড় হিসাবে তিনি নিয়মিতই এই ধরনের অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন। শুধু তিনিই নন, তাঁর দলের অন্য খেলোয়াড়রাও প্রায়ই সমালোচনার শিকার হন।

খেলার মাঠেও তাঁকে কটূক্তি শুনতে হয়েছে। গত মাসে, ব্রিস্টল বিয়ার্সের হয়ে খেলার সময় এক সমর্থক তাঁকে “গ্রামাঞ্চলে ফিরে যাও” বলেও মন্তব্য করেন।

জয়েস-বাচার্স মনে করেন, খেলোয়াড়দের শুধুমাত্র খেলার পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে বিচার করা উচিত। তাঁর মতে, খেলোয়াড়দের শারীরিক গঠন, চুলের স্টাইল অথবা পোশাক নিয়ে মন্তব্য করাটা সম্পূর্ণভাবে অনুচিত।

তিনি জানান, এই ধরনের নেতিবাচক মন্তব্য তাঁর সামাজিক কার্যকলাপের উপর প্রভাব ফেলে।

তবে, জয়েস-বাচার্স তাঁর দলের নতুন কোচ শন লিনের প্রশংসা করেছেন। লিনের তত্ত্বাবধানে দলের পরিবেশ উন্নত হয়েছে এবং খেলোয়াড়রা এখন খেলা উপভোগ করছেন।

লিন খেলোয়াড়দের খেলা সম্পর্কে উৎসাহিত করেন এবং তাঁদের দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেন।

আসন্ন আয়ারল্যান্ড ম্যাচের আগে জয়েস-বাচার্স প্রতিপক্ষের খেলোয়াড় ডানা ও’ব্রায়েনের খেলা নিয়ে তাঁর উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন।

ও’ব্রায়েনকে তিনি একজন শক্তিশালী খেলোয়াড় হিসেবে উল্লেখ করেছেন। জয়েস-বাচার্স মনে করেন, আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয় পেতে হলে তাঁদের ভালো খেলতে হবে।

জ্যাজ জয়েস-বাচার্স ওয়েলসের হয়ে ৪২টি ম্যাচ খেলেছেন এবং তিনটি অলিম্পিকে (সেভেন-এ-সাইড রাগবি) গ্রেট ব্রিটেনের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

তথ্য সূত্র: The Guardian

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *