বন্ধুর নিমন্ত্রণে খালি হাতে গিয়ে বিপাকে নারী! তারপর যা ঘটলো…

সম্প্রতি একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে অনলাইনে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। বন্ধুদের একটি ডিনারে নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে গিয়ে এক নারী এক বিড়ম্বনার শিকার হন।

ঘটনাটি হলো, দাওয়াতকর্তা তাকে খাবার আনতে নিষেধ করেছিলেন, কিন্তু অনুষ্ঠানে তিনি খালি হাতে উপস্থিত হলে পরে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

ওই নারীর ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু একটি ডিনার পার্টির আয়োজন করেছিলেন। নিমন্ত্রণকর্তা আগে থেকেই সবাইকে কিছু না কিছু খাবার আনতে বলেছিলেন – স্ন্যাকস, পানীয় অথবা অন্য কিছু।

তবে দাওয়াতের আগে কথোপকথনে ওই নারী জানান যে তিনি অফিস থেকে সরাসরি আসবেন এবং সম্ভবত তার হাতে তেমন সময় থাকবে না।

উত্তরে বন্ধু জানান, খাবার নিয়ে চিন্তা করার দরকার নেই, তার কাছে যথেষ্ট খাবার আছে এবং তিনি শুধু তাকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে চান।

অনুষ্ঠানে ওই নারী কোনো খাবার নিয়ে যাননি। সবকিছু স্বাভাবিকভাবেই চলছিল।

অন্যান্য অতিথিরা সালাদ, কাপকেক ও ওয়াইনসহ বিভিন্ন পদ নিয়ে এসেছিলেন। ওই নারী পরে ভেবেছিলেন, তিনি হয়তো বাসনপত্র পরিষ্কার করতে বা অন্য কোনো কাজে সাহায্য করবেন।

কিন্তু খাবার পরিবেশনের সময়, হোস্ট এমন একটি মন্তব্য করেন যা অপ্রত্যাশিত ছিল। তিনি বলেন, “যদিও সবাই কিছু না কিছু এনেছে, তবে আমরা খুশি যে তিনি এসেছেন।”

উপস্থিত সবাই হেসে উঠলেও, ওই নারীর ভালো লাগেনি। তিনি অস্বস্তি বোধ করতে শুরু করেন।

পুরো সময়টা তিনি নিজেকে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করেন, কিন্তু তার মন খারাপ ছিল।

বাড়ি ফেরার পথে তিনি বিষয়টি নিয়ে ভাবতে থাকেন। তিনি বুঝতে পারছিলেন যে বন্ধু হয়তো সামান্য বিরক্ত হয়েছিলেন, কিন্তু তিনি তো খাবার আনতে নিষেধ করেছিলেন।

এখন সবার সামনে তাকে কথা শুনতে হলো, অথচ তিনি কোনো ভুল করেননি।

বিষয়টি নিয়ে তিনি সামাজিক মাধ্যমে তার অসন্তোষ প্রকাশ করেন। অনলাইনে অনেকে তার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন এবং আয়োজকের আচরণকে সমালোচনা করেছেন।

তাদের মতে, কোনো অনুষ্ঠানে অতিথিদের বিব্রত করা উচিত নয়।

অন্যদিকে, কেউ কেউ মনে করেন, ওই নারীর বন্ধুকে আগে থেকে খাবার আনতে না পারার বিষয়ে জানানোটা হয়তো ঠিক হয়নি।

তাদের মতে, সামান্য কিছু কিনে নিয়ে যাওয়া যেত।

সামাজিক অনুষ্ঠানে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও স্পষ্ট যোগাযোগের গুরুত্ব এক্ষেত্রে বিশেষভাবে লক্ষণীয়। দাওয়াতকর্তা ও অতিথিদের মধ্যে সম্পর্কের স্বচ্ছতা এবং আন্তরিকতা বজায় রাখা জরুরি।

কোনো কারণে অতিথিরা যদি কিছু আনতে অসমর্থ হন, তবে তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া উচিত। এই ঘটনার মাধ্যমে সামাজিক অনুষ্ঠানে শিষ্টাচার এবং সম্মানবোধের প্রয়োজনীয়তা আরও একবার প্রমাণিত হলো।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *