মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসন্ন সিনেট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ডেমোক্রেট দলের মধ্যে প্রার্থী বাছাই এবং নির্বাচনী কৌশল নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। দলটির শীর্ষ নেতারা মনে করছেন, ২০২৬ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করতে হলে তাদের কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে।
বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, এই নির্বাচনে বিভিন্ন রাজ্যে প্রার্থী খুঁজে বের করা এবং ভোটারদের মধ্যে দলের অবস্থান সুসংহত করাই এখন প্রধান উদ্বেগের কারণ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ডেমোক্রেটদের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো এমন সব রাজ্যে প্রার্থী খুঁজে বের করা, যেখানে তাদের জেতার সম্ভাবনা তুলনামূলকভাবে কম। এমনকি দলের অভ্যন্তরেও বিভিন্ন বিষয়ে মতপার্থক্য দেখা যাচ্ছে।
অনেক ভোটার জানতে চান, ডেমোক্রেট দল আসলে কী চায় এবং তাদের মূল আদর্শ কী?
সিনেট নির্বাচনে জয়লাভের জন্য ডেমোক্রেটদের একদিকে যেমন শক্তিশালী প্রার্থী দরকার, তেমনি প্রয়োজন নির্বাচনী প্রচারণার কৌশল পরিবর্তন করা। উদাহরণস্বরূপ, যারা ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতির বিরোধিতা করেন, তাদের কাছে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণ করতে হবে।
আবার, রিপাবলিকানদের মোকাবিলা করার জন্য দলের মধ্যে ঐক্যবদ্ধতাও জরুরি।
বিভিন্ন রাজ্যের ডেমোক্রেট নেতারা মনে করছেন, এই মুহূর্তে তাদের জন্য সবচেয়ে বড় সুযোগ হলো নতুন করে দলটিকে সাজানো। তারা এমন একটি দল গড়তে চান, যা সাফল্যের পথে এগিয়ে যাবে, একইসঙ্গে ভোটারদের নিরাপত্তা ও ভালো ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা দেবে।
নির্বাচনে জয়লাভের জন্য শুধু ভালো প্রার্থী পেলেই হবে না, প্রয়োজন পর্যাপ্ত অর্থের জোগান। উদাহরণস্বরূপ, জানা যায়, কোনো কোনো রাজ্যে সিনেট আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য প্রার্থীদেরকে বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করতে হচ্ছে।
তবে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, ডেমোক্রেটদের জন্য ২০২৬ সালের নির্বাচন মোটেই সহজ হবে না। কারণ, তাদের এমন সব রাজ্যে লড়তে হবে, যেখানে রিপাবলিকানদের প্রভাব বেশি।
উদাহরণস্বরূপ, আলাস্কা, কেনটাকি, ও মিসিসিপি-র মতো রাজ্যগুলোতে ডেমোক্রেটদের জয় পাওয়া কঠিন হতে পারে। এর বাইরে, মেইন ও নর্থ ক্যারোলিনার মতো রাজ্যগুলোতেও তাদের ভালো ফল করতে হবে।
অন্যদিকে, রিপাবলিকানরাও তাদের কৌশল সাজাচ্ছে। তারা মনে করছে, ডেমোক্রেটদের দুর্বলতাগুলো কাজে লাগিয়ে নির্বাচনে ভালো ফল করা সম্ভব।
বিশেষ করে, অর্থনৈতিক ইস্যু এবং ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন নিয়ে তারা ডেমোক্রেটদের আক্রমণ করতে পারে।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পরিস্থিতিতে ডেমোক্রেটদের জন্য ভোটারদের আস্থা অর্জন করাটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাদের দেখাতে হবে, তারা দেশের মানুষের জন্য কী করতে চায় এবং তাদের নীতিগুলো কতটুকু কার্যকর।
তথ্য সূত্র: সিএনএন