অ্যান্ড্রু: রাজকীয় দায়িত্ব থেকে দূরে থেকেও কেন চার্লসের পাশে?

প্রিন্স অ্যান্ড্রু: ইস্টার সানডেতে রাজপরিবারের সাথে, বিতর্ক সত্ত্বেও।

ব্রিটিশ রাজপরিবারে নানা ঘটনার ঘনঘটা লেগেই আছে। সম্প্রতি ডিউক অফ ইয়র্ক প্রিন্স অ্যান্ড্রুকে নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। বিতর্কের মাঝেও তিনি গত ২০শে এপ্রিল ইস্টার সানডেতে ভাই কিং চার্লস এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

প্রিন্স অ্যান্ড্রু দীর্ঘদিন ধরেই রাজকীয় দায়িত্ব থেকে দূরে রয়েছেন। ২০১৬ সালে বিতর্কিত ব্যবসায়ী জেফরি এপস্টাইনের সঙ্গে তার সম্পর্কের অভিযোগ উঠার পর ২০১৯ সালে তিনি রাজকীয় পদ থেকে সরে দাঁড়ান। এরপরেও রাজপরিবারের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাকে প্রায়ই দেখা যায়। ইস্টার সানডের অনুষ্ঠানেও তিনি তার প্রাক্তন স্ত্রী সারাহ ফার্গুসন, বোন প্রিন্সেস অ্যান এবং তার স্বামী স্যার টিমোথি লরেন্সের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন। তার দুই মেয়ে প্রিন্সেস বিট্রিস এবং প্রিন্সেস ইউজেনিও তাদের স্বামীদের সঙ্গে এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

২০১৯ সালে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এপস্টাইনের সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে মুখ খোলার পরই অ্যান্ড্রু’র সম্মানহানি হয়। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে রানীর নির্দেশে তার সামরিক খেতাব ও বিভিন্ন পদ কেড়ে নেওয়া হয়। এরপর ভার্জিনিয়া জিউফ্রে’র করা যৌন নির্যাতনের মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার পর ফেব্রুয়ারিতে তিনি আদালতের বাইরে আপোষ করেন। যদিও তিনি বরাবরই তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

তবে, রাজকীয় দায়িত্ব পালন না করলেও পারিবারিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অ্যান্ড্রুকে নিয়মিত দেখা যায়। গত বছরও তিনি ইস্টার সানডেতে অংশ নিয়েছিলেন। যদিও, ২০২৪ সালের ক্রিসমাস অনুষ্ঠানে তাকে দেখা যায়নি। চীনের একজন ‘গোয়েন্দা’র সঙ্গে তার সম্পর্কের অভিযোগ ওঠায় তিনি সেই সময়ের অনুষ্ঠানগুলো এড়িয়ে যান। এমনকি ক্রিসমাসের ঐতিহ্যপূর্ণ অনুষ্ঠানেও তিনি যোগ দেননি।

সম্প্রতি বাকিংহাম প্যালেস থেকে প্রিন্স অ্যান্ড্রু, তার উপদেষ্টা এবং কিং চার্লসের মধ্যে হওয়া কিছু গোপন বৈঠক নিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, অ্যান্ড্রু এবং তার উপদেষ্টার সঙ্গে রাজা চার্লসের আলোচনা হয়েছিল ইউরেশিয়া ফান্ড নিয়ে। এই ফান্ডের মাধ্যমে চীনের অর্থায়নে আফ্রিকার নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পে বিনিয়োগের পরিকল্পনা ছিল। তবে, ওই বৈঠকে চীনের বিতর্কিত ব্যক্তি ইয়াং তেংবোর (যিনি নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করতে পারেননি) কোনো বিষয়ে আলোচনা হয়নি।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, প্রিন্স অ্যান্ড্রুর এই অংশগ্রহন নিয়ে এখনও অনেকের মধ্যে কৌতূহল রয়েছে।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *