যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য নীতির পরিবর্তনের ফলে বিশ্বজুড়ে বেবি পণ্যের দাম বাড়তে পারে, যা বাংলাদেশের পরিবারগুলোর উপরও প্রভাব ফেলতে পারে। সম্প্রতি মার্কিন সরকার কিছু বিদেশি পণ্যের উপর শুল্ক (ট্যারিফ) আরোপ করেছে, যার ফলস্বরূপ শিশুদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়তে শুরু করেছে।
এই পদক্ষেপের কারণে শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনা অনেক পরিবারের জন্য কঠিন হয়ে উঠতে পারে।
জানা গেছে, শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় অনেক পণ্য, যেমন – শিশুদের পোশাক, খেলনা, ডায়াপার, বেবি ক্যারিয়ার, এবং আরও অনেক কিছুই তৈরি হয় চীনসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে। এই শুল্কের কারণে আমদানি খরচ বাড়ছে, ফলে পণ্যের দামও বাড়ছে।
উদাহরণস্বরূপ, যদি একটি বেবি স্ট্রলার তৈরি করতে আগে ১,০০০ টাকা খরচ হতো, তবে শুল্কের কারণে এখন হয়তো সেই একই স্ট্রলারের দাম ১,২০০ টাকা বা তার বেশি হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই শুল্কের সরাসরি প্রভাব পড়বে ভোক্তাদের উপর। ব্যবসায়ীরা হয় দাম বাড়াতে বাধ্য হবেন, অথবা তাদের মুনাফা কমাতে হবে।
দাম বাড়লে অনেক পরিবার, বিশেষ করে যাদের সীমিত আয়, তাদের জন্য শিশুদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনা কঠিন হয়ে পড়বে। এমনকি শিশুদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার জন্য অপরিহার্য কিছু সামগ্রী, যেমন – ভালো মানের সিট বা সুরক্ষা সরঞ্জাম কেনা তাদের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে উঠবে।
এই পরিস্থিতিতে, অনেক কোম্পানি উৎপাদন খরচ কমাতে বিকল্প পথ খুঁজছে। কেউ কেউ উৎপাদন কেন্দ্র চীন থেকে সরিয়ে ভিয়েতনাম বা মেক্সিকোতে স্থানান্তরিত করার চেষ্টা করছে।
তবে, সব দেশে একই রকম সুবিধা পাওয়া সম্ভব নয়। উন্নত প্রযুক্তি এবং দক্ষ শ্রমিক পাওয়া সব জায়গায় সহজ নয়, যার কারণে উৎপাদন প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে।
বাংলাদেশেও আমদানি করা পণ্যের উপর শুল্কের প্রভাব রয়েছে। যদি কোনো বিদেশি বেবি পণ্যের দাম বাড়ে, তবে তা বাংলাদেশের বাজারেও দেখা যেতে পারে।
তাই, বিশ্ব অর্থনীতির এই পরিবর্তনের দিকে আমাদের সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সরবরাহ এবং দামের উপর এর প্রভাব বিবেচনা করে সরকার ও ব্যবসায়ীদের উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
মোটকথা, বিশ্ব অর্থনীতির এই নতুন পরিস্থিতিতে বেবি পণ্যের দাম বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এর ফলে শিশুদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনা কঠিন হয়ে যেতে পারে।
তাই, বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে, সম্ভাব্য ঝুঁকিগুলো মোকাবিলায় এখনই পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস