স্বামী চাকরি হারানোয় স্ত্রী’র জীবনে বড় পরিবর্তন, সংসার সামলাতে স্বামীর এই রূপে হতবাক!

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী শ্যারন এবং কেরি জনসন দম্পতি তাদের পরিবারের চিরাচরিত ভূমিকা বদলে ফেলেছেন। ২০১৬ সাল ধরে বিবাহিত এই দম্পতির ছয় সন্তান রয়েছে।

তাদের জীবনে এই পরিবর্তন আসে যখন কেরি, যিনি আগে পরিবারের উপার্জনকারী ছিলেন, চাকরি হারান। এরপর শ্যারন, যিনি ১৪ বছর ধরে গৃহিণী ছিলেন, পরিবারের প্রধান উপার্জনকারীর দায়িত্ব নেন।

অন্যদিকে, কেরি সন্তানদের দেখাশোনা এবং গৃহকর্মের দায়িত্ব নেন।

কেরির চাকরি হারানোর পর, শ্যারন প্রথমে কিছুটা দ্বিধা বোধ করলেও পরে তিনি সামাজিক মাধ্যমে ক্যারিয়ার গড়ার সিদ্ধান্ত নেন। বর্তমানে তিনি মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন বিষয় নিয়েও কাজ করছেন।

শ্যারন বলেন, “আমি সবসময় চেয়েছি আমার সন্তানেরা এমন নারীদের দেখুক যারা ক্যারিয়ার নিয়ে কাজ করে এবং চিরাচরিত গৃহিণীর বাইরেও তাদের আলাদা পরিচয় আছে।”

অন্যদিকে, কেরি জানান, তিনি আগে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করার কারণে সন্তানদের সঙ্গে তেমনভাবে সময় কাটাতে পারতেন না।

কিন্তু এখন তিনি তাদের স্কুলের আনা-নেওয়া থেকে শুরু করে সকালের প্রস্তুতি এবং অন্যান্য কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশ নিতে পারেন। তিনি বলেন, “আমি এখন সন্তানদের আরও ভালোভাবে বুঝতে পারছি এবং তাদের সঙ্গে সময় কাটানোটা আমার জন্য খুবই আনন্দের।”

অনেকেই তাকে ‘ট্র্যাডওয়াইফ’ বলে ডাকেন, কিন্তু কেরি বিষয়টি বেশ উপভোগ করেন। তিনি মনে করেন, এই পরিচয়ের মাধ্যমে তিনি পরিবারের প্রতি তার দায়িত্ব আরও ভালোভাবে পালন করতে পারছেন।

এই পরিবর্তনের ফলে শ্যারন স্বস্তি অনুভব করছেন। তিনি জানান, কেরির এই ভূমিকায় আসার কারণে পরিবারের সবকিছু এখন একটি দলের মতো মনে হয়।

তাদের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া বেড়েছে এবং তারা একে অপরের প্রতি আরও বেশি সহযোগী হয়েছেন। শ্যারন বলেন, “আমরা এখন একটি পরিবার হিসেবে একসঙ্গে আছি। আমি অনুভব করি, আমরা একে অপরের সহযোগী।”

আর্থিকভাবে কিছুটা সমস্যা হলেও, শ্যারন মনে করেন এই পরিবর্তনের সুফল অনেক বেশি। কেরিকে আগের থেকে অনেক বেশি শান্ত ও সুখী দেখা যায়, যা তাদের কাছে অনেক মূল্যবান।

শ্যারন আরও জানান, তাদের সন্তানেরাও এই পরিবর্তনকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে।

ভবিষ্যতে কী হবে, তা তারা জানেন না। তবে তারা এখনকার জীবন উপভোগ করছেন এবং এই পরিবর্তনের মাধ্যমে তাদের পরিবারের বন্ধন আরও দৃঢ় হয়েছে।

শ্যারন মনে করেন, এই অভিজ্ঞতা তাদের পরিবারের ধারণা এবং কর্মজীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি সম্পূর্ণ পরিবর্তন করে দিয়েছে।

এই বিষয়ে শ্যারনের পরামর্শ, “দাম্পত্য জীবনে একে অপরের দায়িত্বগুলো অনুভব করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে আমরা একে অপরকে আরও ভালোভাবে বুঝতে পারি এবং একটি শক্তিশালী সম্পর্ক তৈরি করতে পারি।”

তথ্য সূত্র: পিপল ম্যাগাজিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *