সিনেমা জগৎ-এ আবারও সাফল্যের ঢেউ। পরিচালক রায়ান কুগলার-এর নতুন হরর চলচ্চিত্র ‘সিনার্স’ বক্স অফিসে দারুণ ব্যবসা করে শীর্ষ স্থান দখল করেছে। সিনেমাটি মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই ৪ কোটি ৫৬ লক্ষ মার্কিন ডলার (USD) আয় করেছে, যা চলচ্চিত্র সমালোচক এবং দর্শকদের প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গেছে।
এই সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা মাইকেল বি. জর্ডান।
সিনেমা ব্যবসার বিশ্লেষকদের মতে, ‘সিনার্স’-এর এই অভাবনীয় সাফল্যের পেছনে মূল কারণ হলো পরিচালক রায়ান কুগলার এবং অভিনেতা মাইকেল বি. জর্ডানের জুটি। এর আগে তাঁরা ‘ব্ল্যাক প্যান্থার’-এর মতো দর্শকপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন।
তাছাড়া, ‘সিনার্স’-এর গল্পে ভ্যাম্পায়ার-এর নতুন উপস্থাপন দর্শকদের আকৃষ্ট করেছে। সিনেমাটি মুক্তির আগে থেকেই আলোচনায় ছিল, যা এর সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
অন্যদিকে, ‘এ মাইনক্রাফ্ট মুভি’ মুক্তির তৃতীয় সপ্তাহে ৪ কোটি ১৩ লক্ষ মার্কিন ডলার আয় করেছে। সিনেমাটি মুক্তির পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৪ কোটি ৫০ লক্ষ মার্কিন ডলার আয় করেছে।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ‘সিনার্স’ এবং ‘এ মাইনক্রাফ্ট মুভি’ – উভয় সিনেমাই ওয়ার্নার ব্রাদার্স পিকচার্স-এর পরিবেশনায় মুক্তি পেয়েছে।
পর্যালোচনা সাইট ‘রটেন টমেটোস’-এ ‘সিনার্স’ ৯৮ শতাংশ রেটিং পেয়েছে, যা সিনেমাটির গুণগত মান প্রমাণ করে। মেটাক্রিটিক-এ সিনেমাটি ৮৪ স্কোর অর্জন করেছে, যা ২০২৩ সালের সেরা সিনেমাগুলোর মধ্যে সপ্তম স্থানে রয়েছে।
কমস্কোর-এর একজন ঊর্ধ্বতন বিশ্লেষক, পল ডেরগারাবেডিয়ান-এর মতে, “সমালোচকদের এত ভালো রিভিউ পাওয়া হরর ঘরানার সিনেমাগুলোর মধ্যে বিরল।”
সিনেমা বিশ্লেষকদের মতে, ‘সিনার্স’-এর এই সাফল্য হরর ঘরানার সিনেমার জন্য একটি ইতিবাচক দিক। কারণ, এই ঘরানার সিনেমাগুলো সাধারণত স্বল্প বাজেটে তৈরি হলেও, ভালো ব্যবসা করে।
উদাহরণস্বরূপ, ২০১৭ সালে ‘ইট’ এবং ‘গেট আউট’-এর মতো হরর সিনেমাগুলো বক্স অফিসে ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করেছিল।
চলতি বছর ইউনিভার্সাল পিকচার্স ‘এম3গান 2.0’ এবং ‘ব্ল্যাক ফোন 2’-এর মতো হরর সিনেমার সিক্যুয়েল মুক্তি দিতে যাচ্ছে।
সিনেমা ব্যবসার বর্তমান ধারা বজায় থাকলে, আসন্ন গ্রীষ্মে মুক্তি প্রতীক্ষিত ‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’ এবং ‘মিশন: ইম্পসিবল – দ্য ফাইনাল রেকনিং’-এর মতো সিনেমাগুলো বক্স অফিসে আরও বড় সাফল্য নিয়ে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
একইসাথে, ‘এ মাইনক্রাফ্ট মুভি’ বিশ্বব্যাপী ১ বিলিয়ন ডলার আয়ের পথে এগিয়ে চলেছে।
সিনেমা ব্যবসার এই ইতিবাচক চিত্র প্রমাণ করে, বিশ্বজুড়ে সিনেমার দর্শক এখনো হলমুখী হচ্ছেন এবং ভালো গল্পের সিনেমা দেখতে আগ্রহী।
তথ্য সূত্র: সিএনএন