মার্কিন সামরিক বাহিনী কর্তৃক ইয়েমেনে হামলার পরিকল্পনা সম্পর্কিত অতি গোপনীয় তথ্য ফাঁস করার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের একজন শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, ওই কর্মকর্তা তাঁর ব্যক্তিগত একটি সিগন্যাল চ্যাট গ্রুপের মাধ্যমে আক্রমণের বিস্তারিত তথ্য আদান-প্রদান করেছেন।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, অভিযুক্ত কর্মকর্তার নাম পিট হেগসেথ। তিনি মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত আছেন। মার্চ মাসে ইয়েমেনে সামরিক অভিযান শুরুর আগে, হেগসেথ তাঁর ব্যক্তিগত ‘সিগন্যাল’ চ্যাট গ্রুপে আক্রমণের বিস্তারিত পরিকল্পনা, এমনকি যুদ্ধ বিমানের উড্ডয়ন সূচিও শেয়ার করেন। এই গ্রুপে হেগসেথের পরিবারের সদস্য এবং ঘনিষ্ঠ কয়েকজন বন্ধুও ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’-এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হেগসেথ তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গঠিত এই প্রাইভেট গ্রুপে একই ধরনের তথ্য শেয়ার করেছেন, যা তিনি এর আগে সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত আরেকটি সিগন্যাল গ্রুপে দিয়েছিলেন। সেই গোপন চ্যাট গ্রুপের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সম্প্রতি ফাঁস হয়, যেখানে হেগসেথ আক্রমণের পরিকল্পনা প্রকাশ করেছিলেন।
এই ঘটনার জেরে হেগসেথের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ আরও জোরালো হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, তিনি অত্যন্ত গোপনীয় তথ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে চরম দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছেন। এমনকী, তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং উপদেষ্টাদের মধ্যে কয়েকজনকে এরই মধ্যে বরখাস্ত করা হয়েছে, কারণ তাঁরা অননুমোদিতভাবে তথ্য ফাঁস করেছেন।
বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে বিতর্ক শুরু হয়েছে। হেগসেথের স্ত্রী জেনিফার হেগসেথ এবং ভাই ফিল হেগসেথ-এর এই গোপন চ্যাট গ্রুপে উপস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। জেনিফার অতীতে বিদেশি প্রতিনিধিদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশ নিয়েছেন। অন্যদিকে, ফিল একজন পডকাস্ট প্রযোজক, যিনি সম্প্রতি হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগে কাজ শুরু করেছেন। তাঁদের এই গোপনীয় আলোচনাগুলোতে অংশগ্রহণের কারণ এখনো স্পষ্ট নয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের গোপনীয় তথ্য আদান-প্রদান জাতীয় নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ। সরকারি কর্মকর্তাদের দায়িত্ব হলো অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে গোপনীয় বিষয়গুলো পরিচালনা করা।
তথ্য সূত্র: