মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদের গোপনীয়তা লঙ্ঘনের ঘটনায় আবারও বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, দেশটির প্রতিরক্ষা সচিব (প্রতিরক্ষামন্ত্রী) পিট হেগসেথ তার ব্যক্তিগত সিগন্যাল চ্যাট গ্রুপে ইয়েমেনে মার্কিন বিমান হামলার বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করেছেন।
এই চ্যাট গ্রুপে তার স্ত্রী এবং ভাই সহ আরও কয়েকজন সদস্য ছিলেন।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, হেগসেথ হামলার বিস্তারিত তথ্য, যেমন – হামলায় ব্যবহৃত এফ/এ-১৮ হর্নেট বিমানের সময়সূচী সহ অন্যান্য সংবেদনশীল বিষয়ও সেখানে প্রকাশ করেন।
এই তথ্যগুলো তিনি পরবর্তীতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজের তৈরি করা কর্মকর্তাদের আরেকটি সিগন্যাল গ্রুপে শেয়ার করেন।
এই ঘটনার কয়েক সপ্তাহ আগে, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজও একইভাবে একটি সিগন্যাল চ্যাট তৈরি করেছিলেন, যেখানে ইয়েমেনে হামলার বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছিল।
এই চ্যাটে ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা সহ আটলান্টিকের প্রধান সম্পাদকও ছিলেন।
এদিকে, মার্কিন সিনেটর অ্যামি ক্লবুচার সতর্ক করেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র এখন একটি সাংবিধানিক সংকটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আদালত, রিপাবলিকানদের মধ্যে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতির প্রতি অসন্তুষ্টি এবং জনসাধারণের প্রতিবাদই সংকটকে আপাতত দূরে রাখছে।
অন্যদিকে, ম্যাসাচুসেটসের গভর্নর মাউরা হিলি বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওপর আক্রমণ বিজ্ঞান ও গবেষণার জন্য ক্ষতিকর।
এর ফলে অনেক গবেষক গবেষণার সুযোগের জন্য অন্য দেশে চলে যাচ্ছেন, যা আমেরিকার জন্য উদ্বেগের কারণ।
এছাড়াও, জানা গেছে, ট্রাম্প প্রশাসনের একটি খসড়া আদেশে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরকে নতুন করে সাজানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
এতে আফ্রিকা মহাদেশীয় কার্যক্রম, জলবায়ু পরিবর্তন, শরণার্থী, মানবাধিকার, গণতন্ত্র এবং লিঙ্গ সমতা বিষয়ক বিভাগগুলোতে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হতে পারে।
অন্য একটি খবরে জানা যায়, পোপ ফ্রান্সিস এবং জেডি ভেন্সের মধ্যে এক সংক্ষিপ্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অভিবাসন এবং অভিবাসন নীতি নিয়ে তাঁদের মধ্যে ভিন্নমত থাকলেও ইস্টার উপলক্ষে তাঁরা সাক্ষাৎ করেন।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান