পোপ ফ্রান্সিস, ক্যাথলিক চার্চের প্রধান, ৮৮ বছর বয়সে প্রয়াত।
বিশ্বজুড়ে ক্যাথলিক খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মগুরু, পোপ ফ্রান্সিস, ৮৮ বছর বয়সে মারা গেছেন। তিনি ছিলেন একাধারে প্রথম লাতিন আমেরিকান এবং সহস্রাব্দেরও বেশি সময়ের মধ্যে প্রথম অ-ইউরোপীয় পোপ।
তাঁর প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিশ্বনেতৃবৃন্দ।
আর্জেন্টিনায় জন্ম নেওয়া এই ধর্মগুরু ২০১৩ সালে পোপের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন মানবতাবাদী এবং সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত একজন মানুষ।
তাঁর নম্রতা ও সাদাসিধে জীবনযাত্রা খুব দ্রুতই সকলের মন জয় করে নিয়েছিল। পোপ ফ্রান্সিস তাঁর সময়ে চার্চকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক করে তোলার চেষ্টা করেছেন।
তিনি নারী অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন এবং ক্যাথলিক যাজকদের দ্বারা শিশুদের যৌন নির্যাতনের মতো গুরুতর বিষয়গুলো সমাধানেও উদ্যোগী হয়েছিলেন। যদিও তাঁর এই প্রচেষ্টা কতটা সফল হয়েছে, সে বিষয়ে বিশ্লেষকদের মধ্যে ভিন্নমত রয়েছে।
পোপ ফ্রান্সিস দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছিলেন। জীবনের শুরুতে, ২১ বছর বয়সে তাঁর ফুসফুসের একটি অংশ অপসারণ করা হয়েছিল।
সম্প্রতি তিনি ডাবল নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন এবং গত ২৩শে মার্চ তিনি ইতালির রোমের একটি হাসপাতাল, জেমেলি হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে ফিরে আসেন। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী, তিনি সেরে ওঠার জন্য দুই মাস বিশ্রাম নেওয়ার কথা ছিল।
পোপ ফ্রান্সিসের নেতৃত্বে ক্যাথলিক চার্চ বিশ্বজুড়ে শান্তি ও ঐক্যের বার্তা ছড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তিনি বিভিন্ন দেশের দরিদ্র ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং তাদের অধিকারের জন্য সোচ্চার হয়েছেন।
তাঁর প্রয়াণে শুধু ক্যাথলিক সম্প্রদায় নয়, বরং সারা বিশ্বের মানুষ একজন মহান নেতার অভাব অনুভব করছেন।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা