পোপ ফ্রান্সিসের প্রয়াণে বিশ্বজুড়ে শোকের ছায়া
রোমান ক্যাথলিক চার্চের ইতিহাসে প্রথম লাতিন আমেরিকান পোপ, ফ্রান্সিস, ৮৮ বছর বয়সে মারা গিয়েছেন। সোমবার তার প্রয়াণের খবর আসে, যা বিশ্বজুড়ে শোকের সৃষ্টি করেছে।
ভ্যাটিকান সিটি থেকে এই খবর জানানো হয়। দীর্ঘদিন ধরে তিনি অসুস্থ ছিলেন এবং ফুসফুসের প্রদাহের কারণে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
পোপ ফ্রান্সিস ছিলেন একজন অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং মানবিক মানুষ। তিনি সবসময় সাধারণ মানুষের কাছাকাছি থাকতে পছন্দ করতেন।
তার প্রয়াণে বিশ্বনেতাদের শোকবার্তায় ফুটে উঠেছে তার মানবিকতা, দরিদ্রদের প্রতি ভালোবাসা এবং আন্তঃধর্মীয় সংলাপের গুরুত্বের কথা। ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি তাকে একজন মহান ব্যক্তি এবং ভালো মনের মানুষ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
তিনি জানান, পোপের কাছ থেকে পাওয়া উপদেশ ও শিক্ষাকে তিনি সবসময় গুরুত্ব দিতেন।
বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানরাও শোক প্রকাশ করেছেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার শোকবার্তায় রাশিয়া এবং ক্যাথলিক চার্চের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করার ক্ষেত্রে পোপ ফ্রান্সিসের অবদানের কথা উল্লেখ করেছেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাকে “দয়া, নম্রতা ও আধ্যাত্মিক সাহসের প্রতীক” হিসেবে স্মরণ করেছেন। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ পোপের “সংবেদনশীলতা” এবং “মানবিকতার” প্রশংসা করেছেন।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ পোপ ফ্রান্সিসের প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন। যদিও বাংলাদেশে ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম, তবুও পোপের প্রয়াণে এখানকার মানুষের মনেও গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
পোপ ফ্রান্সিস সবসময় শান্তি ও ঐক্যের বার্তা দিয়েছেন। দরিদ্র ও অসহায় মানুষের প্রতি তার ছিল গভীর সহানুভূতি।
তিনি বিভিন্ন সময়ে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে তারা দরিদ্র ও নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়ান। তার এই আদর্শ বিশ্বজুড়ে মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে।
পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে শুধু ক্যাথলিক সম্প্রদায় নয়, বরং বিশ্ববাসী একজন মহান নেতাকে হারালো। তার মানবিক গুণাবলী, দরিদ্র মানুষের প্রতি ভালোবাসা এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তার সংগ্রাম চিরকাল মানুষের মনে গেঁথে থাকবে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা