পোপ ফ্রান্সিসের প্রয়াণে শোক প্রকাশ করলেন রাজা চার্লস।
বিশ্বজুড়ে ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বীদের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসের প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস। সোমবার, ২১ এপ্রিল, ৮৮ বছর বয়সে ভ্যাটিকানে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। রাজার দপ্তর বাকিংহাম প্যালেস থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এই খবর জানানো হয়।
বিবৃতিতে রাজা চার্লস ও কুইন ক্যামিলার পক্ষ থেকে বলা হয়, “পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যু সংবাদে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। তবে, তাঁর মহাপ্রয়াণের আগে ইস্টার সানডেতে তিনি যে বাণী শুনিয়েছিলেন, তা আমাদের কিছুটা হলেও শান্তি এনে দিয়েছে।”
পোপের প্রয়াণের কয়েক দিন আগে, গত ৯ই এপ্রিল রাজা চার্লস ও কুইন ক্যামিলা ভ্যাটিকানে পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। অসুস্থতার কারণে তাঁদের পূর্বনির্ধারিত সাক্ষাৎ বাতিল হওয়ার পরে, এই বিশেষ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে তাঁরা উপহার বিনিময় করেন এবং পোপ তাঁদের বিবাহবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানান।
পোপ ফ্রান্সিসের প্রয়াণে শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে. ডি. ভ্যান্সও। তিনি জানান, পোপের প্রয়াণের খবর শুনে তিনি মর্মাহত।
পোপ ফ্রান্সিস তাঁর কর্মজীবনে মানবতা, একতাবোধ এবং পরিবেশ সুরক্ষার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি সবসময় ধর্মীয় ভেদাভেদ ভুলে সকল মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। তাঁর এই মানবিক দিকটি বিশ্বজুড়ে বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
পোপের প্রয়াণের খবর নিশ্চিত করে ভ্যাটিকান নিউজের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “পোপ ফ্রান্সিস ইস্টার সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫-এ ভ্যাটিকানের কাসা সান্তা মার্তাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।” তাঁর প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করে কার্ডিনাল ফারেল এক বিবৃতিতে জানান, “আমাদের পবিত্র পিতা ফ্রান্সিস প্রভুর কাছে ফিরে গিয়েছেন। তিনি তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছিলেন ঈশ্বরের সেবা এবং গির্জার জন্য। তিনি আমাদের শিখিয়েছেন কীভাবে আনুগত্য, সাহস এবং ভালোবাসার সঙ্গে সুসমাচারের মূল্যবোধ নিয়ে বাঁচতে হয়, বিশেষ করে দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতি আমাদের সহানুভূতি থাকতে হবে।”
পোপ ফ্রান্সিসের প্রয়াণ বিশ্বজুড়ে ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বীদের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। তাঁর আদর্শ ও মানবতাবাদী চিন্তা-চেতনা যুগে যুগে মানুষের মনে অনুপ্রেরণা যোগাবে।
তথ্য সূত্র: পিপল