মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতাদের একটি দল বিতর্কিত এক ঘটনার জেরে এল সালভাদর সফর করেছেন। তাঁদের মূল উদ্দেশ্য ছিল, কিলমার আব্রেগো গার্সিয়া নামের এক ব্যক্তির দেশে প্রত্যাবর্তনের জন্য চাপ সৃষ্টি করা।
এই ব্যক্তি, যিনি একসময় যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘদিন বসবাস করেছেন, তাকে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র থেকে deport করা হয়েছে। জানা গেছে, ট্রাম্প প্রশাসনের একটি ‘প্রশাসনিক ত্রুটির’ কারণে এই ঘটনা ঘটেছে, যদিও সুপ্রিম কোর্ট তাকে ফেরানোর নির্দেশ দিয়েছিল।
কিলমার আব্রেগো গার্সিয়ার বিষয়টি এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ডেমোক্র্যাটদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এই পদক্ষেপ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনার পরিপন্থী এবং আইনের শাসনের প্রতি চরম অবজ্ঞা।
জানা গেছে, অ্যারিজোনার ইয়াসামিন আনসারি, ওরেগনের ম্যাক্সিন ডেক্সটার, ফ্লোরিডার ম্যাক্সওয়েল ফ্রস্ট এবং ক্যালিফোর্নিয়ার রবার্ট গার্সিয়াসহ চারজন ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতা এল সালভাদরে যান। তাঁরা সেখানে মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করে গার্সিয়ার মুক্তির বিষয়ে আলোচনা করেন।
একইসঙ্গে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে এল সালভাদরে পাঠানো অন্যান্য ব্যক্তিদের বিষয়েও খোঁজখবর নেন তাঁরা।
কিলমার আব্রেগো গার্সিয়াকে বর্তমানে এল সালভাদরের ‘সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রে’ (Cecot) বন্দী করে রাখা হয়েছে। এই কেন্দ্রটি নিয়ে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মধ্যে তীব্র সমালোচনা রয়েছে।
যদিও রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা এর প্রশংসা করেছেন। হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গার্সিয়ার বিরুদ্ধে মানব পাচার ও সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ রয়েছে।
তবে, ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতারা বলছেন, গার্সিয়ার ন্যায়বিচার পাওয়া উচিত। রবার্ট গার্সিয়া এ প্রসঙ্গে বলেছেন, “তিনি যাই করুন না কেন, একজন বিচারকই তা নির্ধারণ করবেন।
এই ঘটনার জেরে, ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন অনেকে। তাঁদের মতে, একটি ‘প্রশাসনিক ত্রুটি’র কারণে একজন মানুষের জীবন এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে না।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও, গার্সিয়াকে ফেরত পাঠাতে অস্বীকার করায় অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ডেমোক্র্যাটদের এই সফর, আইনের শাসন ও ন্যায়বিচারের প্রশ্নে তাঁদের দৃঢ় অবস্থানকেই তুলে ধরে।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান