যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ খবর বর্তমানে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে আলোচনায় রয়েছে।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, যা বিশ্বের অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত, ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, ট্রাম্প প্রশাসন তাদের ২.২ মিলিয়ন ডলারের তহবিল স্থগিত করার চেষ্টা করছে।
হার্ভার্ডের প্রেসিডেন্ট অ্যালান এম গারবার এই পদক্ষেপকে ‘শিক্ষকতার স্বাধীনতা’র উপর হস্তক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি মনে করেন, কোনো সরকারই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে কী পড়ানো হবে, কাদের ভর্তি করা হবে, কিংবা তারা কোন বিষয়ে গবেষণা করবে, তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।
এদিকে, পেন্টাগনের সাবেক এক মুখপাত্র প্রতিরক্ষা বিভাগের প্রধান, অর্থাৎ বর্তমান প্রতিরক্ষামন্ত্রী, পিট হেগসেথের নেতৃত্বের কঠোর সমালোচনা করেছেন। সম্প্রতি, সংবেদনশীল সামরিক বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য ব্যবহৃত একটি দ্বিতীয় ‘সিগন্যাল’ চ্যাটরুমের খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই এই সমালোচনা জোরালো হয়েছে।
যদিও ট্রাম্প হেগসেথের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন এবং তাকে ‘ভালো কাজ করা’র জন্য প্রশংসা করেছেন।
অন্যদিকে, মার্কিন শেয়ার বাজারেও অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে।
ট্রাম্প ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলকে ‘বড় পরাজিত’ বলে অভিহিত করার পরেই সোমবার সকালে শেয়ার বাজার পড়তে শুরু করে। তিনি পাওয়েলের বিরুদ্ধে সুদের হার কমানোর মতো পদক্ষেপ না নেওয়ার অভিযোগ করেছেন।
স্বাস্থ্যখাতেও ট্রাম্প প্রশাসনের কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নজরে এসেছে।
যৌন সংক্রামক রোগ (এসটিআই) পরীক্ষার একটি পরীক্ষাগারে অর্থ বরাদ্দ কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যেখানে সিফিলিসের মতো রোগের প্রাদুর্ভাব উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
এছাড়াও, মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলার শুনানি চলছে, যা ‘অ্যাকোর্ডেবল কেয়ার অ্যাক্ট’ বা ওবামাকেয়ার-এর অধীনে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার অধিকারকে প্রভাবিত করতে পারে।
একই সময়ে, এল সালভাদরে মার্কিন ডেমোক্র্যাটদের একটি প্রতিনিধি দল বন্দী কিলমার অ্যাব্রেগো গার্সিয়ার মুক্তির জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে।
এছাড়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্মচারীদের ‘বেআইনিভাবে’ সংবেদনশীল নথি, যেমন হোয়াইট হাউসের নকশা, অন্যদের সাথে শেয়ার করার খবরও পাওয়া গেছে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান