**ওয়ালগ্রিন্স-এর বিরুদ্ধে ৩৫০ মিলিয়ন ডলারের মাদক মামলার মীমাংসা**
যুক্তরাষ্ট্রের একটি বৃহৎ ফার্মেসি চেইন, ওয়ালগ্রিন্স, তাদের বিরুদ্ধে ওঠা মাদক সংক্রান্ত একটি মামলার নিষ্পত্তিতে রাজি হয়েছে। এই মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, গত এক দশকে তারা অবৈধভাবে কয়েক মিলিয়ন ব্যবস্থাপত্র (prescription) সরবরাহ করেছে।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে ওয়ালগ্রিন্সকে সর্বোচ্চ ৩৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার জরিমানা দিতে হবে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ওয়ালগ্রিন্স কর্তৃপক্ষ রোগীদের ব্যবস্থাপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু ‘লাল পতাকা’ উপেক্ষা করেছে এবং কর্মীদের ওপর দ্রুত ব্যবস্থাপত্র দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেছে। এছাড়া, কোম্পানিটি এমন কিছু ব্যবস্থাপত্রের জন্য সরকারি স্বাস্থ্য বীমা প্রকল্পের (যেমন মেডিকেয়ার) কাছ থেকে অর্থ নেওয়ারও চেষ্টা করেছিল, যেগুলি আসলে অবৈধ ছিল।
এই মামলার নিষ্পত্তিতে ওয়ালগ্রিন্সকে সর্বনিম্ন ৩০০ মিলিয়ন ডলার দিতে হবে। এছাড়া, ২০৩২ সালের আগে যদি কোম্পানিটি বিক্রি হয়ে যায় বা অন্য কোনো কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হয়, তবে অতিরিক্ত ৫০ মিলিয়ন ডলার জরিমানা দিতে হবে।
ওয়ালগ্রিন্সের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, তারা এই অভিযোগের সঙ্গে একমত নন, তবে এই মীমাংসার মাধ্যমে তারা মাদক সংক্রান্ত সব ধরনের আইনি জটিলতা থেকে মুক্তি পেতে চান।
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ জানিয়েছে, তারা এই মামলার নিষ্পত্তি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তারা মনে করে, ফার্মেসিগুলোর দায়িত্ব হল রোগীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কাজ করা, লাভের জন্য ক্ষতিকর ওষুধ সরবরাহ করা নয়।
ওয়ালগ্রিন্স জানিয়েছে, তারা এখন মাদক নিয়ন্ত্রণের নিয়মকানুনগুলি আরও ভালোভাবে মেনে চলবে।
এর অংশ হিসেবে, ব্যবস্থাপত্রের সত্যতা যাচাই করার জন্য ফার্মাসিস্টদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এবং সন্দেহজনক ব্যবস্থাপত্রগুলো চিহ্নিত করার জন্য একটি পদ্ধতি তৈরি করা হবে।
উল্লেখ্য, এই ধরনের মামলায় শুধু ওয়ালগ্রিন্সই নয়, এর আগে আরও অনেক বড় ফার্মেসি কোম্পানি যেমন – সিভিসি (CVS), রাইট এইড (Rite Aid)-কেও একই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে এবং তাদের জরিমানা দিতে হয়েছে।
এই ঘটনাটি যুক্তরাষ্ট্রের মাদক সমস্যার একটি বড় চিত্র তুলে ধরে। দেশটিতে ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী মাদক সেবনের কারণে বহু মানুষ আসক্ত হচ্ছে এবং এর ফলে অনেক মানুষের মৃত্যুও ঘটছে।
তথ্য সূত্র: আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম