ফর্মুলা ওয়ান রেসিং-এর জগতে পরিচিত মুখ ফ্র্যাঙ্কি মুনিজ, যিনি একসময় ‘ম্যালকম ইন দ্য মিডল’ টেলিভিশন সিরিজে অভিনয়ের জন্য খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।
সম্প্রতি, এই অভিনেতা-থেকে-রেসার তার রেসিং ক্যারিয়ারে খারাপ সময় পার করছেন। তিনি মানসিক এবং আবেগিকভাবে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
গত ২১শে এপ্রিল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুনিজ তার অনুভূতির কথা প্রকাশ করেন।
তিনি লেখেন, “যদি আমি ১০০% সত্যি কথা বলি… মানসিক এবং আবেগিকভাবে হয়তো আমি এখন নতুন এক হতাশায়।” এই ঘোষণার কারণ হিসেবে তিনি জানান, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া কয়েকটি রেসে তিনি ভালো ফল করতে পারেননি।
৩৮ বছর বয়সী মুনিজ বর্তমানে নাসকার ক্রাফটসম্যান ট্রাক সিরিজে অংশ নিচ্ছেন।
এপ্রিল মাসের ১৮ তারিখে নর্থ ক্যারোলাইনার রকিংহাম স্পিডওয়েতে অনুষ্ঠিত একটি রেসে কারিগরি ত্রুটির কারণে তাকে বেশ বেগ পেতে হয়।
তার গাড়ির পাওয়ার স্টিয়ারিং লাইনে সমস্যা দেখা দেয়, ফলে তিনি নিয়ন্ত্রণ হারান। মুনিজ জানান, গাড়ি চালানো তার কাছে “সবচেয়ে কঠিন” অভিজ্ঞতা ছিল।
রেসের মাঝপথে তাকে প্রতিযোগিতা থেকে কার্যত ছিটকে যেতে হয়।
ফেব্রুয়ারির ১৪ তারিখে ডেটোনায় অনুষ্ঠিত একটি রেসে তিনি দশম স্থান অর্জন করেছিলেন।
কিন্তু তারপর থেকে, তিনি আর ২১তম স্থানের উপরে উঠতে পারেননি। মুনিজের ভাষায়, “প্রায় দু’বছর ধরে আমার খারাপ ভাগ্য চলছে।” তিনি তার দলের সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “আমি তাদের খুব ভালোবাসি… তারা আমার পাশে আছে, এবং আমি আশা করি ভক্তরাও আমার সঙ্গেই থাকবে।”
মুনিজ আরও জানান, তার স্ত্রী পেইজ মুনিজ সবসময় তাকে সমর্থন করেন।
পেইজ নাকি তাকে বলেছিলেন, “হয়তো এটা তোমারই সমস্যা, হয়তো তুমি ভালো পারফর্ম করতে পারছ না।” এই বিষয়ে মুনিজ বলেন, “আমি আশা করি মানুষ এটা দেখবে। মানুষ তো তাদের কথা বলবেই, কিন্তু আমরা সত্যিই চেষ্টা করছি।”
এক সাক্ষাৎকারে মুনিজ জানান, শুরুতে অনেকে হয়তো ভেবেছিল রেসিংটা তার একটি শখের মতো।
তিনি বলেন, “একজন অভিনেতা যখন রেসিংয়ে আসে, তখন এটা কিছুটা অদ্ভুত লাগতেই পারে। তবে একজন চালক হিসেবে সম্মান অর্জন করতে হয়, যখন আপনি অন্যদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে তাদের হারাতে পারেন। আমি সেটাই করার চেষ্টা করছি।”
খেলাধুলার জগতে এমন উত্থান-পতন নতুন নয়। বাংলাদেশের অনেক ক্রীড়াবিদকেও নিজেদের ক্যারিয়ারে এমন কঠিন সময়ের সম্মুখীন হতে হয়।
ফ্র্যাঙ্কি মুনিজের এই লড়াই, প্রতিকূলতাকে জয় করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার অদম্য ইচ্ছাই প্রমাণ করে।
তথ্য সূত্র: পিপলস