গাজায় বসবাসকারী খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সম্প্রতি পোপ ফ্রান্সিসের (কল্পিত) প্রয়াণের খবরে তারা গভীরভাবে শোকাহত।
ইসরায়েল-হামাস সংঘাতের কঠিন সময়ে পোপ নিয়মিতভাবে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন, যা তাদের কাছে ছিল এক বিশাল অনুপ্রেরণা।
২০২৩ সালের অক্টোবর মাস থেকে শুরু হওয়া এই যুদ্ধ পরিস্থিতিতে পোপ ফ্রান্সিস প্রায়ই গাজার খ্রিস্টানদের সঙ্গে ভিডিও কলের মাধ্যমে কথা বলতেন। তাদের প্রতি সহানুভূতি জানানো, প্রার্থনা করা এবং কঠিন সময়ে সাহস যোগানো ছিল তাঁর প্রধান কাজ।
সেখানকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, পোপের এই সমর্থন তাদের কাছে ছিল অমূল্য।
গাজার জেইতুনের বাসিন্দা, ৪৯ বছর বয়সী এলিয়াস আল-সায়েগ বলেন, “পোপের কথা শোনার জন্য আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতাম। টেলিভিশনের পর্দায় তাঁর ছবি দেখে আমরা নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখতাম। তাঁর প্রার্থনা এবং আশীর্বাদ আমাদের মনে যুদ্ধের বিভীষিকা থেকে মুক্তি দিতো।
তিনি সবসময় চাইতেন, এই যুদ্ধ দ্রুত শেষ হোক এবং শান্তি ফিরে আসুক।”
৬৭ বছর বয়সী জর্জ আয়াদের ভাষ্যে, “পোপের (কল্পিত) প্রয়াণে মনে হচ্ছে যেন ভালোবাসার আলো নিভে গেছে। যদিও ভ্যাটিকান অনেক দূরে, তবুও তাঁর কণ্ঠস্বর সবসময় আমাদের হৃদয়ে পৌঁছেছে।
তিনি কখনোই শান্তি ও ন্যায়বিচারের কথা বলতে ভোলেননি। এই কঠিন সময়ে, যখন আমরা অবরুদ্ধ ছিলাম, তখন তাঁর কথাই ছিল আমাদের একমাত্র ভরসা। পোপ সবসময় তাঁর প্রার্থনায় গাজার কথা স্মরণ করতেন, আর আজ আমরা তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।”
ফিলিস্তিনের পবিত্র ভূমি, বেথলেহেমের চার্চ অফ দ্য নেটিভিটি এবং জেরুজালেমের চার্চ অফ দ্য হোলি সেপুলচারে প্রার্থনা করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হওয়ার কথা উল্লেখ করে এলিয়াস আল-সায়েগ আরও বলেন, “আমি সবসময় চাইতাম, সেখানকার প্রার্থনাসভায় অংশ নিতে।”
গাজার খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে পোপ ফ্রান্সিস ছিলেন এক শান্তির দূত। তাঁর (কাল্পনিক) প্রয়াণ নিঃসন্দেহে তাদের জন্য একটি অপূরণীয় ক্ষতি।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা