ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক নীতির কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে কেমন প্রভাব পড়ছে, তার একটি প্রাথমিক চিত্র পাওয়া যাচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ার বাণিজ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এমনটাই ধারণা পাওয়া যাচ্ছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত তথ্য বলছে, চলতি এপ্রিল মাসের প্রথম ২০ দিনে দেশটির রপ্তানি কমেছে ৫.২ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই হিসাব বিশ্ব বাণিজ্যের গতিপথের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত বহন করে। বিশেষ করে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম এবং গাড়ির মতো পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করার পরেই এমনটা দেখা যাচ্ছে।
যদিও এর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার সব ধরনের পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা ছিল, পরে তা জুলাই মাস পর্যন্ত স্থগিত করা হয়।
বর্তমানে, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর প্রায় ১০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর রয়েছে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এপ্রিলের প্রথম ২০ দিনে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রে গাড়ি ও ইস্পাত রপ্তানি কমেছে যথাক্রমে ৬.৫ শতাংশ এবং ৮.৭ শতাংশ।
একই সময়ে, যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষিণ কোরিয়ার সামগ্রিক রপ্তানি গত বছরের তুলনায় ১৪.৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
তবে, এই পরিস্থিতিতে কিছুটা স্বস্তির খবর হলো সেমিকন্ডাক্টর রপ্তানি বেড়েছে ১০.২ শতাংশ।
যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখনো পর্যন্ত সেমিকন্ডাক্টরের ওপর শুল্ক আরোপ করেনি, তবে ভবিষ্যতে এই পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক বসানোর সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই তথ্য প্রমাণ করে যে, মার্কিন শুল্ক নীতি বিশ্ব বাণিজ্যকে জটিল করে তুলছে।
তবে, বাজারের পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তন হতে পারে। তাই এখনই কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসা ঠিক হবে না।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, ট্রাম্প প্রশাসনের এই শুল্ক নীতি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে অস্থিরতা তৈরি করেছে, যার ফলস্বরূপ অনেক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান তাদের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য পরিকল্পনা স্থগিত করতে পারে। এমনকি, কোনো কোনো দেশের রপ্তানিও হ্রাস পেতে পারে।
বর্তমানে, দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা চলছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হওয়ার কথা রয়েছে।
মার্কিন সরকার জানিয়েছে, তারা দক্ষিণ কোরিয়ার মতো মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিকে অগ্রাধিকার দিতে চায়।
তথ্য সূত্র: সিএনএন