আতঙ্ক! ইতিহাসের সেরা ১০: গোল করা খেলোয়াড়, রইলো তালিকা!

শিরোনাম: বিগত ৩০ বছরের সেরা ১০: রাগবি ইতিহাসের সফলতম গোলকিকার

খেলাটা যখন উত্তেজনার চূড়ান্ত পর্যায়ে, জয়-পরাজয় নির্ধারণে সামান্য ভুলেরও থাকে বড় প্রভাব, আর সেই মুহূর্তে দলের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেন একজন নির্ভরযোগ্য গোলকিকার। রাগবি খেলায় গোল করার দক্ষতা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা এই খেলোয়াড়দের দিকে তাকালেই বোঝা যায়।

বিগত ৩০ বছরে রাগবি বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টিকারী সেরা ১০ জন গোলকিকারের কথা তুলে ধরা হলো, যারা নিজেদের অসাধারণ দক্ষতা দিয়ে জয় এনে দিয়েছেন দলকে।

এই তালিকায় সবার উপরে রয়েছেন ওয়েলসের লি হ্যালফেনি। তাঁর নির্ভুল কিকগুলো প্রতিপক্ষের জন্য ছিল রীতিমতো ভয়ের কারণ।

২০১৩ সালে ব্রিটিশ ও আইরিশ লায়ন্স দলের হয়ে অস্ট্রেলিয়া সফরে তাঁর গোল করার পারদর্শিতা ছিল চোখে পড়ার মতো। সেই সিরিজে তিনি সর্বোচ্চ পয়েন্ট অর্জনকারী ছিলেন এবং ফাইনাল টেস্টে ২১ পয়েন্ট নিয়ে নতুন রেকর্ড গড়েছিলেন, যা আজও উল্লেখযোগ্য।

তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার মর্নে স্টেইন। তাঁর কিকের দক্ষতা বিশেষভাবে পরিচিত।

২০১১ সালের বিশ্বকাপে তিনি ছিলেন শীর্ষ স্কোরার। এছাড়া, ব্রিটিশ ও আইরিশ লায়ন্সের বিপক্ষে ২০১২ এবং ২০২১ সালের সিরিজে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ কিকগুলো দলের জয়ে সহায়ক ছিল।

ইংল্যান্ডের জনি উইলকিনসন এই তালিকার তৃতীয় স্থানে। তাঁর খেলার ধরন অনুকরণীয়।

২০০৩ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে তাঁর ড্রপ গোল আজও অনেকের মনে গেঁথে আছে। নিজের খেলার প্রতি তাঁর একাগ্রতা এবং নিবেদন ছিল দৃষ্টান্তমূলক।

ওয়েলসের নীল জেনকিন্স আধুনিক গোলকিকিংয়ের অন্যতম পথিকৃৎ। তাঁর খেলার সময়ে স্টেডিয়ামের দর্শক, ওয়েলসের স্কোর বোর্ডে অতিরিক্ত ২-৩ পয়েন্ট যোগ করে রাখতেন, কারণ তাঁর কিক মানেই ছিল নিশ্চিত গোল।

দক্ষিণ আফ্রিকার হ্যান্ড্রে পোলার্ডের কথা বিশেষভাবে বলতে হয়। ২০২৩ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে তাঁর দূরপাল্লার কিক ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এছাড়া, ২০১৯ সালের ফাইনালে তিনি চোখের আঘাত নিয়েও ২২ পয়েন্ট সংগ্রহ করেন, যা তাঁর মানসিক দৃঢ়তার প্রমাণ।

ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ওয়েন ফ্যারেলও এই তালিকায় রয়েছেন। তাঁর ঠান্ডা মাথার পারফরম্যান্স এবং নির্ভুল কিকগুলো প্রতিপক্ষকে সবসময় চাপে রাখত।

নিউজিল্যান্ডের ড্যান কার্টার তাঁর অসাধারণ খেলার জন্য সুপরিচিত। তাঁর বাঁ পায়ের কিকগুলো ছিল খুবই কার্যকরী।

তিনি তার ক্যারিয়ারে ১৫৯৮ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছেন।

ফ্রান্সের থমাস রামোসও এই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন। খেলার মাঠে তাঁর ধারাবাহিকতা এবং স্কোর করার ক্ষমতা তাকে বিশেষ পরিচিতি দিয়েছে।

ওয়েলসের ড্যান বিগারও এই তালিকায় অন্যতম। মাঠে তাঁর মানসিক দৃঢ়তা এবং গোল করার ক্ষমতা ছিল অসাধারণ।

এবং সবশেষে, ইতালির দিয়েগো ডোমিঙ্গুয়েজ। খেলার মাঠে তাঁর নান্দনিকতা এবং ধারাবাহিক পারফরম্যান্স অনেক খেলোয়াড়ের কাছে দৃষ্টান্তস্বরূপ।

রাগবি খেলায় একজন ভালো গোলকিকারের গুরুত্ব অনেক। এই খেলোয়াড়েরা শুধু স্কোর করেন না, বরং চাপের মুহূর্তে দলের মনোবলও বাড়িয়ে তোলেন।

তাঁদের দক্ষতা এবং মানসিক দৃঢ়তা খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে।

তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *