বিখ্যাত কমেডিয়ান ল্যারি ডেভিড সম্প্রতি একটি ব্যঙ্গাত্মক প্রবন্ধ লিখেছেন, যেখানে তিনি বিল মাহেরের ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে নৈশভোজের অভিজ্ঞতার প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন। নিউ ইয়র্ক টাইমস-এ প্রকাশিত এই প্রবন্ধটির শিরোনাম হলো ‘মাই ডিনার উইথ অ্যাডলফ’।
প্রবন্ধটিতে ডেভিড, মাহেরের ট্রাম্পের প্রতি ইতিবাচক মনোভাবের অনুকরণ করেছেন। বাস্তব ঘটনা হলো, বিল মাহের সম্প্রতি হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে রাতের খাবার খেয়েছিলেন এবং সেই অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি ট্রাম্পকে ‘মার্জিত’ এবং ‘আত্ম-সচেতন’ হিসেবে উল্লেখ করেন। ডেভিডের ব্যঙ্গ প্রবন্ধে হিটলারকে একজন বন্ধুত্বপূর্ণ এবং হাস্যরসিক ব্যক্তি হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে। তিনি হিটলারের সঙ্গে ডিনারের একটি কাল্পনিক বর্ণনা দেন, যেখানে হিটলারের কৌতুক শুনে ডেভিড মুগ্ধ হন এবং এক পর্যায়ে তিনি হিটলারকে ধন্যবাদ জানান।
ডেভিডের এই রচনার প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে মাহেরের মন্তব্যের ওপর ভিত্তি করে। বিল মাহের এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প—উভয়ই এর আগে পরস্পরকে অপছন্দ করতেন এবং ট্রাম্প মাহেরকে ‘ছোট লোক’ এবং তাঁর শোকে ‘বন্ধ’ বলেও মন্তব্য করেছিলেন। কিন্তু মাহের তাঁর শোতে ট্রাম্পকে ‘মার্জিত’ হিসেবে বর্ণনা করায় ল্যারি ডেভিড সম্ভবত সেই ঘটনার প্রতিক্রিয়া হিসেবেই এই প্যারোডি তৈরি করেছেন।
ডেভিডের এই লেখায়, হিটলারের একটি কুকুরছানা অসুস্থ হলে তিনি যে কৌতুক করেন, সেটিও তুলে ধরা হয়েছে। ডেভিড লিখেছেন, “হিটলার হাসতে হাসতে বলেন, আমি যদি ইহুদি, জিপসি এবং সমকামীদের মারতে পারি, তবে একটা কুকুরকে মারতে পারব না কেন!” এই কৌতুকটি শুনে ডেভিড বেশ বিস্মিত হয়েছিলেন।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের ডেপুটি সম্পাদক প্যাট্রিক হিলি এই বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন যে, ডেভিডের এই প্রবন্ধটি আসলে মাহেরের ট্রাম্পের সঙ্গে নৈশভোজের ঘটনার প্রতিক্রিয়া। হিলির মতে, ডেভিডের লেখার মূল উদ্দেশ্য হলো, মানুষকে তাদের আসল স্বরূপে দেখা এবং কারও ভেতরের আসল চরিত্রকে উপেক্ষা না করা।
উল্লেখ্য, ল্যারি ডেভিড এর আগেও ট্রাম্পকে নিয়ে বেশ কয়েকটি ব্যঙ্গাত্মক রচনা লিখেছেন। এর মধ্যে ২০১৬ সালের জুনে রাশিয়ান এজেন্টদের সঙ্গে ট্রাম্পের সাক্ষাতের একটি গল্প এবং মেলানিয়া ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নিয়ে ট্রাম্পের গভীর রাতের কথোপকথন বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও, তিনি ‘স্যাটারডে নাইট লাইভ’-এ বার্নি স্যান্ডার্সের চরিত্রেও অভিনয় করেছেন।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান