যুক্তরাষ্ট্রে টিজিআই ফ্রাইডেজের রেস্টুরেন্ট সংখ্যা দ্রুত কমছে, জানা গেছে। এক সময়ের জনপ্রিয় এই ফুড চেইনটির এখন মাত্র ৮৫টি শাখা অবশিষ্ট রয়েছে। এক বছর আগেও যুক্তরাষ্ট্রে তাদের প্রায় ২৭০টি শাখা ছিল।
খবর অনুযায়ী, কোভিড-১৯ অতিমারীর কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতি এবং ভোক্তাদের রুচি পরিবর্তনের ফলে এই সংকট তৈরি হয়েছে।
টিজিআই ফ্রাইডেজের ব্যবসার এই খারাপ অবস্থার পেছনে আরও কিছু কারণ রয়েছে। জানা যায়, গত বছর কোম্পানিটি দেউলিয়া হওয়ার জন্য আবেদন করে।
এই সময় তাদের ১৬৪টি শাখা খোলা ছিল, কিন্তু দেউলিয়া হওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যে আরও ৩০টি শাখা বন্ধ করতে বাধ্য হয় তারা। বর্তমানে, তারা তাদের ব্যবসার দীর্ঘমেয়াদী ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে কৌশলগত পরিবর্তনের চেষ্টা করছে।
এর অংশ হিসেবে, কিছু রেস্টুরেন্ট ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছে বিক্রি করা হয়েছে।
কোম্পানিটি তাদের মেনু পরিবর্তন করারও পরিকল্পনা করছে, যেখানে তরুণ প্রজন্মের রুচিকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
“স্বাইসি” খাবার, ফিউশন ফুড এবং গ্রিল করা স্টেক-এর উপর জোর দেওয়া হবে। এছাড়া, আন্তর্জাতিক বাজারে টিজিআই ফ্রাইডেজের প্রায় ৪০০টি শাখা রয়েছে, যা তাদের টিকে থাকার একটি সম্ভাবনা দেখাচ্ছে।
তবে, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে টিজিআই ফ্রাইডেজের জন্য লড়াইটা সহজ হবে না। ২০০৮ সালে তাদের প্রায় ৬০০টি শাখা ছিল, যা এখন কমে এসেছে।
সাধারণত, মধ্য ও নিম্ন-আয়ের পরিবারের সদস্যরা এই ধরনের রেস্টুরেন্টে খেতে পছন্দ করেন।
কিন্তু বর্তমানে মানুষের হাতে খরচ করার মতো অর্থের পরিমাণ কমে যাওয়ায়, এই ধরনের চেইন রেস্টুরেন্টগুলো গ্রাহক হারাচ্ছে।
শুধু টিজিআই ফ্রাইডেজ নয়, আরও অনেক জনপ্রিয় রেস্টুরেন্ট চেইন এই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে।
এদের মধ্যে হুটার্স, বার লুই, বুকা ডি বেপ্পো এবং অন দ্য বর্ডার-এর মতো নাম উল্লেখযোগ্য। এমনকি ডেনিস, অ্যাপেলবি’স, আউটব্যাক স্টেকহাউস, বোনফিশ গ্রিল, রেড রবিন এবং ক্র্যাকার ব্যারেল-এর বিক্রিও কমছে, এবং তারা সম্মিলিতভাবে কয়েকশ’ রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে দিয়েছে।
১৯৬৫ সালে ম্যানহাটনে টিজিআই ফ্রাইডেজ যাত্রা শুরু করে। এটি ছিল তরুণ-তরুণীদের আড্ডা দেওয়ার একটি জনপ্রিয় স্থান।
“হ্যাপি আওয়ার” ধারণাটি জনপ্রিয় করতেও তাদের জুড়ি ছিল না।
মেন্যুতে চিকেন উইংস, পটেটো স্কিনস এবং হ্যামবার্গারের মতো আমেরিকান ক্লাসিক খাবার পাওয়া যেত।
রেস্টুরেন্টটির বিশেষ সাজসজ্জা, যেমন টিফানি-স্টাইলের ল্যাম্প এবং বড় লাল বুথগুলো গ্রাহকদের আকৃষ্ট করত।
তথ্য সূত্র: সিএনএন