ভ্যাটিকান সিটিতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন পোপ ফ্রান্সিস, শোকের ছায়া বিশ্বজুড়ে।
রোববার সকালে ভ্যাটিকান সিটিতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের কারণে তিনি মারা যান। তাঁর প্রয়াণে বিশ্বজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে, বিভিন্ন দেশের মানুষজন তাঁদের শোক প্রকাশ করছেন।
পোপ ফ্রান্সিসের প্রয়াণের খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই শোকাহত মানুষের ঢল নামে ভ্যাটিকানের সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে। সেখানে সমবেত হয়ে বহু মানুষ তাঁদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং প্রয়াত পোপের আত্মার শান্তি কামনা করেন। শোক প্রকাশ করতে আসা মানুষের মধ্যে বিভিন্ন বয়সের, বিভিন্ন দেশের নাগরিক ছিলেন। তাঁদের চোখে-মুখে ছিল গভীর দুঃখের ছাপ।
অনেকেই ফুল হাতে নীরবে দাঁড়িয়ে ছিলেন। কেউ বা তাঁদের প্রিয়জনের সঙ্গে ফিসফিস করে কথা বলছিলেন।
পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যু শুধু ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের জন্য নয়, বিশ্বজুড়ে শান্তি ও মানবতার বার্তাবাহীদের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। তিনি সবসময় দরিদ্র ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়তে এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করতে তিনি ছিলেন অবিচল।
তাঁর সরল জীবনযাপন এবং সাধারণ মানুষের প্রতি ভালোবাসার কারণে তিনি সকলের কাছে প্রিয় ছিলেন।
পোপের প্রয়াণের পর, নিয়ম অনুযায়ী, এখন নতুন পোপ নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। আগামী ২৬ এপ্রিল তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে, নয় দিনের শোক পালন করা হবে।
এই সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কার্ডিনালরা এসে মিলিত হবেন এবং নতুন পোপ নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করবেন। ভ্যাটিকানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শোকের এই সময়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বহু পর্যটকের সমাগম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেই কারণে সবরকম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
পোপ ফ্রান্সিসের প্রয়াণে বাংলাদেশের ক্যাথলিক সম্প্রদায়ও গভীরভাবে শোকাহত। বাংলাদেশের বিভিন্ন গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। দেশের ক্যাথলিক চার্চের প্রধান আর্চবিশপসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা শোক প্রকাশ করেছেন এবং প্রয়াত পোপের আত্মার শান্তি কামনা করেছেন।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা