আতঙ্ক নয়, ওটা আসল! Hello Kitty-এর রঙে সেজেছে জাপানের বিমানবন্দর!

জাপানের একটি বিমানবন্দরে বিশ্বখ্যাত কার্টুন চরিত্র “হ্যালো কিটি”-র সাজসজ্জা!

পর্যটকদের আকর্ষণ করার জন্য, জাপানের কাইউশু দ্বীপের ওইতা অঞ্চলের একটি বিমানবন্দরকে “ওইতা হ্যালো কিটি বিমানবন্দর” হিসেবে নতুন করে সাজানো হয়েছে। মূলত, ২০২৫ সালের ওসাকা বিশ্ব মেলার কথা মাথায় রেখে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যেখানে হ্যালো কিটির নান্দনিকতা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

জাপানে আসা পর্যটকদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে, যা স্থানীয় অর্থনীতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই পর্যটকদের মধ্যে যারা সাধারণত টোকিও বা কিয়োটোর মতো জনবহুল স্থানগুলোতে ভ্রমণ করেন, তাদের ওইতা অঞ্চলের দিকে আকৃষ্ট করাই এই পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য।

বিমানবন্দরের মুখপাত্র সিএনএন-কে জানিয়েছেন, “আমরা চাই, পর্যটকরা ওইতাতেও ভ্রমণ করুক।”

ওইতা শহরটি প্রাকৃতিক গরম ঝর্ণা (hot spring) এবং মনোরম দৃশ্যের জন্য পরিচিত। ওসাকা থেকে বিমানে করে এখানে পৌঁছাতে এক ঘণ্টা এবং ট্রেনে প্রায় চার ঘণ্টা সময় লাগে।

বিমানবন্দরে হ্যালো কিটির পাশাপাশি অন্যান্য সানরিও (Sanrio) চরিত্র, যেমন- মাই মেলোডি, লিটল টুইন স্টারস এবং পচাকো-এর ছবিও দেখা যাচ্ছে।

সানরিও-এর “হারমনি ল্যান্ড” নামক একটি থিম পার্কও ওইতা অঞ্চলে অবস্থিত।

সানরিও কর্তৃপক্ষের মতে, “এই উদ্যোগের ফলে শুধুমাত্র টোকিও এবং কানসাই অঞ্চলের পর্যটকদের আকর্ষণ করাই নয়, বরং ওইতা ও কাইউশুর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, গরম ঝর্ণা এবং খাবারের মতো বিশেষত্বগুলোও তুলে ধরা সম্ভব হবে।”

বিমানবন্দরে হ্যালো কিটির ছবি সম্বলিত বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা আশা করছেন, এই পরিবর্তনের মাধ্যমে আরও বেশি পর্যটকদের আনাগোনা বাড়বে।

বিমানবন্দরের এক অনুষ্ঠানে সানরিও এন্টারটেইনমেন্টের প্রেসিডেন্ট আয়া কোমাকি বলেন, “আমরা আশা করি, এই বিমানবন্দরটি অসংখ্য হাসির সেতুবন্ধন তৈরি করবে।”

ওইতা প্রিফেকচার ফুকুওকা শহর থেকে প্রায় ৪০ মাইল দূরে অবস্থিত। এখানে বেপ্পু এবং ইউফুইনের মতো জনপ্রিয় গরম ঝর্ণা শহরও রয়েছে।

যদিও আন্তর্জাতিক পর্যটকদের তুলনায় অভ্যন্তরীণ পর্যটকদের আনাগোনা এখানে বেশি। গত মাসে আসা পর্যটকদের মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশই ছিলেন জাপানের বিভিন্ন অঞ্চলের বাসিন্দা।

জাপানে অবশ্য বিমানবন্দরের এমন নামকরণ নতুন নয়। এর আগে, তোত্তোরি শহরের বিমানবন্দর “তোত্তোরি স্যান্ড ডুনস কোনান বিমানবন্দর” নামে পরিচিতি লাভ করে, যা জনপ্রিয় “কেস ক্লোজড” অ্যানিমে সিরিজের প্রতি উৎসর্গীকৃত।

এছাড়াও, ইয়োনাগো কিতারো বিমানবন্দরটি “গেগেগে নো কিতারো” নামের একটি অ্যানিমে সিরিজের নামে নামকরণ করা হয়েছে।

জাপানের ট্রেনগুলোতেও প্রায়ই জনপ্রিয় কার্টুন চরিত্রদের দেখা যায়। এক্ষেত্রেও হ্যালো কিটি অন্যতম প্রধান আকর্ষণ।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *