সুখী দাম্পত্য জীবনের চাবিকাঠি কি, তর্কবিহীন সংসার? সম্প্রতি বিশ্ববিখ্যাত অভিনেতা জর্জ ক্লুনি এবং তাঁর স্ত্রী আমাল ক্লুনির একটি মন্তব্য নিয়ে আলোচনা চলছে। তাঁরা নাকি তাঁদের বিবাহিত জীবনে কখনোই ঝগড়া করেননি।
সিবিএস মর্নিংস-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্লুনি দম্পতি তাঁদের সম্পর্ককে ‘সহজতম বিষয়’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে, তাহলে কি সুখী দাম্পত্য জীবনের মূল মন্ত্র হল, কোনো প্রকারের মতবিরোধ ছাড়াই জীবন কাটানো? ক্লুনি দম্পতির এই মন্তব্যের পর অনেকেই তাঁদের দাম্পত্য জীবন নিয়ে কৌতূহল প্রকাশ করেছেন।
এমন একটি ধারণা তৈরি হয়েছে যে, ক্লুনি দম্পতির মতো সুখী হতে গেলে সম্ভবত কোনো প্রকারের মনোমালিন্য বা তর্ক-বিতর্ক এড়িয়ে চলতে হয়।
কিন্তু সত্যিই কি ঝগড়া-বিবাদহীন একটি সম্পর্ক সম্ভব? মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, সম্পর্কের মধ্যে সামান্য মতের অমিল থাকাটা স্বাভাবিক। বরং কোনো বিষয়ে দ্বিমত পোষণ না করাটা অনেক ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর সম্পর্কের লক্ষণ নাও হতে পারে।
অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, আলোচনা এবং বিতর্কের মাধ্যমে দম্পতিরা একে অপরের প্রতি আরও বেশি সহানুভূতিশীল হন এবং সম্পর্কের গভীরতা বাড়ে।
অবশ্য, ক্লুনি দম্পতির জীবনযাত্রা অনেকের কাছেই ঈর্ষণীয় হতে পারে। তাঁদের অঢেল সম্পদ, একাধিক বাড়ি এবং সন্তান প্রতিপালনের জন্য সহায়িকা – এই সবকিছু সম্ভবত তাঁদের সম্পর্ককে আরও সহজ করে তুলেছে।
অন্যদিকে, বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, সুখী দম্পতিরা তাঁদের সম্পর্কের ছোটখাটো সমস্যাগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করেন, যা ভবিষ্যতে বড় ধরনের সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে।
কিছু মনোবিদ মনে করেন, সম্পর্কের মধ্যে উত্থান-পতন থাকবেই, তবে তা আলোচনার মাধ্যমে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।
তাহলে, সুখী দাম্পত্যের রহস্য কি? তর্কহীন সংসার, নাকি আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা? সম্ভবত, প্রতিটি সম্পর্কের নিজস্ব গতিপথ থাকে।
ক্লুনি দম্পতির জীবনযাত্রা আমাদের কাছে দৃষ্টান্তস্বরূপ, তবে সবার জন্য একই পথ অনুসরণ করা সম্ভব নাও হতে পারে।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান