শিরোনাম: পোপ ফ্রান্সিসের ঐতিহাসিক হোয়াইট হাউস সফর: ওবামা পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ ও কংগ্রেসের উদ্দেশ্যে ভাষণ
২০১৫ সালের কথা। বিশ্ববাসী তখন একজন বিশেষ অতিথির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল। তিনি আর কেউ নন, খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু, পোপ ফ্রান্সিস। এই বছরই তিনি যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি-তে এক ঐতিহাসিক সফরে এসেছিলেন, যা ছিল সকলের জন্য এক স্মরণীয় ঘটনা। সম্প্রতি প্রয়াত হওয়া পোপ ফ্রান্সিসের এই সফরটি ছিল বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ।
পোপ ফ্রান্সিসের এই সফর শুধু একটি সাধারণ ভ্রমণ ছিল না, বরং এটি ছিল দুটি দেশের মধ্যেকার সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ওয়াশিংটন ডিসিতে তিনি তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, যা ছিল এক বিরল দৃশ্য। হোয়াইট হাউসে ওবামা পরিবার, মিশেল ওবামা এবং তাদের দুই কন্যা, সাশা ও মালিয়ার সঙ্গে পোপের সাক্ষাৎ হয়। সেখানে তিনি উষ্ণ অভ্যর্থনা লাভ করেন। এই সফরে ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও উপস্থিত ছিলেন, যিনি নিজেও একজন ক্যাথলিক।
পোপের এই সফরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ছিল মার্কিন কংগ্রেসের উভয় কক্ষের যৌথ অধিবেশনে তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণ। এর আগে কোনো পোপকে এই বিরল সম্মান জানানো হয়নি। ভাষণে তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিষয় এবং মানবতার কথা তুলে ধরেন। তিনি শান্তির বার্তা পৌঁছে দিতে চেয়েছিলেন বিশ্ববাসীর কাছে।
পোপ ফ্রান্সিস তাঁর ভাষণে আমেরিকার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি আব্রাহাম লিংকন, মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র এবং ডরোথি ডে-র মতো বিখ্যাত আমেরিকানদের কথা উল্লেখ করেন। এই মহান ব্যক্তিরা কীভাবে মানুষের অধিকারের জন্য লড়াই করেছেন, তা তিনি তুলে ধরেন। পোপের এই ভাষণ universal মূল্যবোধের প্রতিচ্ছবি ছিল, যা বিভিন্ন সংস্কৃতির মানুষের কাছে আজও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
পোপ ফ্রান্সিসের এই সফর শুধু একটি আনুষ্ঠানিকতা ছিল না। এটি ছিল দুটি ভিন্ন সংস্কৃতির মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরির একটি প্রয়াস। তাঁর এই সফরের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে শান্তি, মানবতা এবং সহানুভূতির বার্তা ছড়িয়ে পড়েছিল। তাঁর এই সফর এখনো অনেক মানুষের হৃদয়ে গেঁথে আছে।
তথ্য সূত্র: