অবাক করা স্বীকারোক্তি! মেগান মার্কেলের জীবনের অজানা অধ্যায় ফাঁস

মেগান মার্কেল, যিনি বর্তমানে ডাচেস অফ সাসেক্স হিসেবে পরিচিত, প্রায়শই খবরের শিরোনামে থাকেন।

সম্প্রতি, তিনি তার একটি পডকাস্টে নিজের জীবনের এমন কিছু কথা বলেছেন যা অনেকের কাছেই অজানা। বিশেষ করে, তার কলেজ জীবনের কিছু স্মৃতি তিনি তুলে ধরেছেন, যা অনেকের কাছেই নতুন।

নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময় মেগান একটি ছাত্রী সংগঠন, ‘কাপ্পা কাপ্পা গামা’-র সদস্য ছিলেন।

এই সময়ে, চুলের স্টাইল নিয়ে তাকে বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। তিনি জানান, সেই সময় ফ্ল্যাট আয়রন (চুল সোজা করার জন্য ব্যবহৃত) তেমন সহজলভ্য ছিল না। ফলে, তাকে চুল সোজা করার জন্য অন্য পদ্ধতি অবলম্বন করতে হতো।

মেগান বলেন, “তখন ফ্ল্যাট আয়রন সহজলভ্য ছিল না বললেই চলে। যদি থাকতোও, আমি সে ব্যাপারে কিছু জানতাম না। কারণ, আমার কাছে ছিল একটা ছোট স্টোভ, যার উপরে গরম করে ফ্ল্যাট আয়রন ব্যবহার করতে হতো। এরপরও, চুলের একটা বিশেষ টেক্সচারের কারণে অন্যদের থেকে আমার সমস্যা হতো।

তিনি আরও জানান, “আমার মনে আছে, যারা শ্বেতাঙ্গ ছিল, তাদের অনেকেই বলত, ‘কিসের গন্ধ আসছে? চুল কি পুড়ছে?'” মূলত, নিজের চুলের ধরন নিয়ে অন্যদের থেকে ভিন্ন হওয়ার কারণে, তাকে বিভিন্ন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে।

ছোটবেলায় মায়ের কাছ থেকে চুলের যত্ন নেওয়ার বিষয়েও স্মৃতিচারণ করেন মেগান।

তার মা-র মতে, তার চুল ছিল “খুব কোঁকড়ানো এবং ঘন”। তাই, চুলের সঠিক পরিচর্যা করতে অনেক বেগ পেতে হতো।

পেশাগত জীবনে, মেগান বর্তমানে একজন হেয়ার কালারিস্টের সঙ্গে কাজ করছেন।

এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, একবার চুলের রং করার পর, তিনি তার বন্ধু এবং হেয়ার স্টাইলিস্ট কাদি লির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কাদি লস অ্যাঞ্জেলেসে একটি সেলুন চালান।

মেগান মার্কেলের এই ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাগুলো আমাদের সমাজে পরিচিত অনেক নারীর জীবনের প্রতিচ্ছবি। বিশেষ করে, নিজের সংস্কৃতি এবং ভিন্নতা নিয়ে যারা বেড়ে ওঠেন, তাদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *