শিরোনাম: ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে বিভাজন: সাফল্যের মাপকাঠি কি ভিন্ন হবে?
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের প্রত্যাশা ও বাস্তবতা নিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে আলোচনা চলছে। একদিকে, তার নেওয়া কিছু সিদ্ধান্ত এবং নীতির কারণে একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
অন্যদিকে, তার সমর্থকরা মনে করেন, এই ধরনের পদক্ষেপ হয়তো তাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে সক্ষম। ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের কার্যক্রম নিয়ে তৈরি হওয়া এই দ্বিধাবিভক্ত পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করা যাক।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুটা খুব একটা মসৃণ হয়নি। তার কিছু নীতি এবং সিদ্ধান্তের কারণে ইতোমধ্যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে।
অভ্যন্তরীণ কোন্দল, বিতর্কিত ব্যক্তিদের নিয়োগ এবং কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে সীমাবদ্ধতা দেখা যাচ্ছে। তবে, ট্রাম্পের সমর্থকরা তাকে গতানুগতিক ধারায় বিচার করতে নারাজ।
তাদের মতে, ট্রাম্প এমন একজন নেতা যিনি প্রচলিত রীতিনীতি ভেঙে দিতে চান এবং যারা পরিবর্তনের পক্ষে, তাদের কাছে এটিই হয়তো সাফল্যের মাপকাঠি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে বেশ কিছু বিষয় বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বাণিজ্য যুদ্ধ, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন এবং অভ্যন্তরীণ সংস্কারের মতো বিষয়গুলো তার প্রধান লক্ষ্য হতে পারে।
বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে শেয়ার বাজারে অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে, যা সাধারণ মানুষের জীবনেও প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়া, পররাষ্ট্রনীতিতে পরিবর্তন এবং মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হলে তা বিশ্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি স্বরূপ হতে পারে।
তবে, ট্রাম্পের সমর্থকরা মনে করেন, তিনি দেশের জন্য ভালো কিছু করতে চান। তারা বিশ্বাস করেন, ট্রাম্প হয়তো এমন কিছু পদক্ষেপ নেবেন যা আগে কেউ নেয়নি।
দেশের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং আমেরিকার স্বার্থ রক্ষার মতো বিষয়গুলোতে তিনি গুরুত্ব দেবেন বলে তাদের ধারণা।
অন্যদিকে, সমালোচকরা বলছেন, ট্রাম্পের কিছু সিদ্ধান্ত দেশের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। বিতর্কিত ব্যক্তিদের নিয়োগ, বিভিন্ন সংস্থার তহবিল হ্রাস এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা খর্ব করার মতো বিষয়গুলো উদ্বেগের কারণ।
তাদের মতে, ট্রাম্পের একগুঁয়েমি এবং ক্ষমতা প্রদর্শনের প্রবণতা দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে দুর্বল করে দিতে পারে।
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে দুটি পরস্পরবিরোধী ধারণা একইসঙ্গে বিদ্যমান থাকতে পারে। একটি অংশে, তার নীতিগুলো ব্যর্থতার দিকে ইঙ্গিত করতে পারে।
কিন্তু অন্য অংশে, যারা পরিবর্তনের পক্ষে, তাদের কাছে এই বিশৃঙ্খলা হয়তো সাফল্যেরই নামান্তর।
ট্রাম্পের নেওয়া পদক্ষেপগুলো দেশের অভ্যন্তরে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কেমন প্রভাব ফেলবে, তা সময়ই বলবে। তবে, এটা স্পষ্ট যে তার দ্বিতীয় মেয়াদের কার্যক্রম নিয়ে বিতর্ক থাকবেই।
তথ্য সূত্র: সিএনএন