সমুদ্রের কালি: শিল্পী ও শৈবালের মিশেলে এক অন্য জগৎ!

শিরোনাম: সমুদ্র রক্ষার আহ্বানে শৈবালের কালি: লন্ডনে এক অভিনব চিত্র প্রদর্শনী

বিশ্বজুড়ে সমুদ্র রক্ষার বার্তা নিয়ে লন্ডনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এক ব্যতিক্রমী চিত্র প্রদর্শনী। ‘আর্ট ফর ইয়োর ওশেন্স’ শীর্ষক এই প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছেন খ্যাতনামা শিল্পীরা, যাদের ক্যানভাসে ফুটে উঠবে সমুদ্রের প্রতিচ্ছবি, তবে সাধারণ রঙে নয়, বরং শৈবালের কালি দিয়ে আঁকা ছবিতে।

এই অভিনব উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য হলো, বিশ্বজুড়ে সমুদ্র সংরক্ষণের জন্য তহবিল গঠন করা।

প্রদর্শনীতে ব্যবহৃত কালি তৈরি করা হয়েছে স্কটল্যান্ডের একটি সমুদ্র শৈবাল খামার থেকে। সেখানকার চাষী অ্যালেক্স গ্লাসগোর খামার থেকে সংগৃহীত শৈবাল প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে এই বিশেষ কালি তৈরি করা হয়েছে।

শিল্পী অ্যান্টনি গর্মলি, যিনি তাঁর কাজের জন্য সুপরিচিত, এই কালি ব্যবহারের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, “এটি অনেকটা কাদামাটির মতো।” এছাড়াও, কারাগ থুরিং, এমা ট্যালবট, লরা ফোর্ড এবং আনায় গ্যালার মতো শিল্পীরা এই প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছেন।

শিল্পকর্মগুলোতে সমুদ্রের গভীরতা, এর জীববৈচিত্র্য এবং মানুষের সঙ্গে এর সম্পর্ক ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। শিল্পীরা তাঁদের কাজের মাধ্যমে সমুদ্র দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে চাইছেন।

তাঁরা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন কীভাবে সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং এর সমাধানে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।

এই প্রদর্শনীর ধারণাটি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। আমাদের দেশ একটি বিশাল উপকূলরেখা এবং নদ-নদী দ্বারা বেষ্টিত।

বঙ্গোপসাগরের জীববৈচিত্র্য আমাদের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্লাস্টিক দূষণ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং অন্যান্য কারণে আমাদের সমুদ্রগুলোও আজ হুমকির সম্মুখীন।

তাই, এই ধরনের সচেতনতামূলক প্রদর্শনী আমাদের দেশেও সমুদ্র রক্ষার গুরুত্ব বাড়াতে সহায়ক হবে।

প্রদর্শনীটি ৭ থেকে ১৫ই মে পর্যন্ত লন্ডনের সোদবি’স-এ অনুষ্ঠিত হবে। এই প্রদর্শনী থেকে সংগৃহীত অর্থ বিশ্ব বন্যপ্রাণী তহবিল (WWF)-এর সমুদ্র সংরক্ষণ প্রকল্পে ব্যয় করা হবে।

আসুন, আমরা সবাই সমুদ্র রক্ষার গুরুত্ব বুঝি এবং আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুস্থ ও সুন্দর সমুদ্রের পরিবেশ গড়ে তুলতে সাহায্য করি।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *