**ম্যাথেউস নুনেসের শেষ মুহূর্তের গোলে অ্যাস্টন ভিলাকে হারালো ম্যানচেস্টার সিটি**
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে (Premier League) অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে জয়লাভ করেছে ম্যানচেস্টার সিটি। খেলার অতিরিক্ত সময়ে, ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে, ম্যাথেউস নুনেসের (Matheus Nunes) করা গোলে ২-১ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করে সিটিজেনরা।
এই জয়ের ফলে, লীগ টেবিলে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে তারা, যা তাদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে (Champions League) খেলার সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল করেছে।
ম্যাচে প্রথমে পিছিয়ে পড়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি। অ্যাস্টন ভিলার হয়ে পেনাল্টি থেকে গোল করেন মার্কাস র্যাশফোর্ড (Marcus Rashford)।
তবে, সিটিজেনরা দ্রুতই খেলায় ফেরে। বার্নার্ডো সিলভার (Bernardo Silva) গোলে সমতা আসার পর, নুনেসের অসাধারণ ফিনিশিংয়ে জয় নিশ্চিত হয়।
খেলার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত, উভয় দলই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে।
ম্যাচের একটা গুরুত্বপূর্ণ সময়ে রেফারি কয়েকটি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত দেন, যা নিয়ে দুই দলের খেলোয়াড় এবং সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
বিশেষ করে, ভিএআর (VAR)-এর কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নিয়ে ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গার্দিওলা (Pep Guardiola) অসন্তুষ্ট ছিলেন, এবং এর জেরে তিনি হলুদ কার্ডও দেখেন।
ম্যাচে অ্যাস্টন ভিলার খেলোয়াড় মার্কাস র্যাশফোর্ড দারুণ পারফর্ম করেন।
তিনি দলের আক্রমণভাগে নেতৃত্ব দেন এবং সিটির রক্ষণকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলেন। যদিও শেষ পর্যন্ত তার দল হার মেনেছে, র্যাশফোর্ডের খেলা দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে।
ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে কেভিন ডি ব্রুইন (Kevin De Bruyne), এবং জেরেমি ডোকু (Jérémy Doku) মাঝমাঠ ও আক্রমণভাগে ভালো খেলেছেন।
এই জয়ের ফলে, ম্যানচেস্টার সিটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার জন্য আরও একধাপ এগিয়ে গেল।
শীর্ষ চারে (top four) থাকতে পারলে তারা সরাসরি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার সুযোগ পাবে। বর্তমানে, তাদের সামনে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলো, যেখানে জয় তাদের জন্য খুবই জরুরি।
অন্যদিকে, অ্যাস্টন ভিলার জন্য এখন গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে তাদের পরবর্তী এফএ কাপের (FA Cup) সেমিফাইনাল ম্যাচের প্রস্তুতি।
ফুটবলপ্রেমীদের জন্য এই ম্যাচটি ছিল অত্যন্ত উপভোগ্য। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্ত, এবং শেষ মুহূর্তের গোলে পরিপূর্ণ ছিল ম্যাচটি।
নিঃসন্দেহে, এই জয় ম্যানচেস্টার সিটির সমর্থকদের জন্য একটি স্মরণীয় দিন।
তথ্যসূত্র: The Guardian