অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের বাসিন্দা, ব্রিজেট ও পাওলা পাওয়ার্স – এই দুই যমজ বোনের কথা সম্প্রতি বেশ চর্চায় এসেছে। তাঁদের মায়ের গাড়ি ছিনতাইয়ের ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে, তাঁরা যেভাবে একই সঙ্গে কথা বলছিলেন, তা অনেকেরই দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
এই দুই বোনের বয়স ৫০ বছর। তাঁরা জানিয়েছেন, আলাদাভাবে কথা বলা তাঁদের জন্য কঠিন। “আমরা জানি না কেন এমন হয়, তবে আলাদা কথা বলার চেষ্টা করলে যেন নিজেদের মতোই থাকি না,” একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে তাঁরা এই কথা জানান।
তাঁদের কথায়, একসঙ্গে কথা বলার এই ধরন নিয়ে যারা সমালোচনা করেন, তাঁদের প্রতি তাঁদের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই।
পাওয়ার্স বোনদের একসঙ্গে কথা বলাটা যেন একটি প্যাকেজ। এমনকি, অনুষ্ঠানে যখন উপস্থাপক পাওলাকে একটি প্রশ্ন করেন, তখন পাওলা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করলেও, ব্রিজেটের ঠোঁটও যেন একই কথা বলার জন্য কাঁপছিল।
গত ২১শে এপ্রিল, ৭ নিউজ কুইন্সল্যান্ড-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে, তাঁরা তাঁদের মায়ের গাড়ি ছিনতাইয়ের বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করেন। ঘটনার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে, তাঁরা একই সময়ে একই কথাগুলো উচ্চারণ করছিলেন।
তাঁদের মধ্যে একজন যখন বলছিলেন, “একজন লোক মায়ের কাছে এসে বলল, ‘পালাও, তাঁর কাছে বন্দুক আছে,’ ” অন্যজনও একই কথা একই ভঙ্গিতে পুনরাবৃত্তি করেন।
পাওয়ার্স বোনারা অস্ট্রেলিয়ায় ‘টুইনিস পেলিকান অ্যান্ড সিবার্ড রেসকিউ’র প্রতিষ্ঠাতা হিসেবেও পরিচিত।
বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় চিড়িয়াখানার তত্ত্বাবধায়ক এবং পরিবেশবিদ স্টিভ আরউইন-এর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে তাঁরা এই প্রাণী উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেন। ২০০৬ সালে আরউইনের মৃত্যুর অল্প পরেই তাঁরা এই কাজে নামেন।
তাঁদের এই বিশেষ ধরনের কথা বলার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে পাওলা বলেন, “আমি যদি এর উত্তর দিতে পারতাম! আসলে এটা এমনিতেই হয়।” তাঁদের এই স্বকীয়তা আর মানবিকতার মিশেল নিঃসন্দেহে বেশ প্রশংসার যোগ্য।
তথ্য সূত্র: পিপল