মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) প্রধান জেরোম পাওয়েলকে বরখাস্ত করার বিষয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনার জেরে তার উপদেষ্টাদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছিল। উপদেষ্টারা আশঙ্কা করেছিলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধানকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা বাজারের অস্থিরতা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
তবে পরে ট্রাম্প এই ধরনের কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানানোর পর শেয়ার বাজারে স্বস্তি ফেরে।
ট্রাম্পের উপদেষ্টারা তাকে সতর্ক করে বলেছিলেন, পাওয়েলকে অপসারণের কোনো চেষ্টা বাণিজ্য যুদ্ধের মতোই বাজারের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তারা মনে করেছিলেন, ট্রাম্প সম্ভবত পাওয়েলকে বরখাস্ত করার চেষ্টা করবেন না।
কারণ, তার অর্থনৈতিক উপদেষ্টারা তাকে কয়েক মাস ধরেই এ বিষয়ে সতর্ক করছিলেন। কিন্তু গত সপ্তাহে ট্রাম্পের আক্রমণাত্মক মন্তব্য এবং পরবর্তীতে পাওয়েলকে ‘বড় ক্ষতিগ্রস্থ’ হিসেবে উল্লেখ করায় তার অভিপ্রায় নিয়ে নতুন করে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়।
ট্রাম্প প্রায়ই বলে থাকেন, অর্থনীতির গতি বাড়াতে ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানো উচিত। তার মতে, তার শুল্ক নীতির কারণে যে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিতে পারে, তা মোকাবিলায় এটি সহায়ক হবে।
কিন্তু পাওয়েল বারবার বলেছেন, ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার বাড়ানো বা কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সতর্কতার সঙ্গে সবকিছু বিবেচনা করবে। এমনকি, মে মাসের নির্ধারিত বৈঠকের আগে কোনো জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া হবে না।
হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে অবশ্য এখনো পর্যন্ত ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পক্ষে যুক্তি দেওয়া হচ্ছে। তারা ফেডারেল রিজার্ভের পদক্ষেপকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেও ইঙ্গিত করেছেন।
হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি কারোলিন লেভিট বলেন, প্রেসিডেন্ট মনে করেন ফেডারেল রিজার্ভ আমেরিকার অর্থনীতির জন্য সঠিক পদক্ষেপের পরিবর্তে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কাজ করছে।
তবে, ট্রাম্পের শীর্ষ অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কেভিন হ্যাসেট সংবাদ মাধ্যমকে জানান, হোয়াইট হাউস এখন পর্যালোচনা করছে যে, ট্রাম্প সত্যিই পাওয়েলকে বরখাস্ত করতে পারেন কিনা। যদিও এর আগে তিনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতাকে সমর্থন করেছিলেন।
ট্রাম্প অবশ্য মঙ্গলবার ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের বলেন, পাওয়েলকে সরিয়ে দেওয়ার কোনো ইচ্ছা তার নেই।
তথ্য সূত্র: সিএনএন