নতুন টার্নার পুরস্কার: সেরা নাকি নিছকই দুর্বল?

শিরোনাম: ২০২৩ সালের টার্নার পুরস্কারের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকা ঘোষণা: শিল্পকলার জগতে নতুন দিগন্ত?

প্রতি বছর, যুক্তরাজ্যের শিল্পকলার জগতে টার্নার পুরস্কার একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এই পুরস্কারটি বিশেষভাবে পরিচিত, যা আধুনিক শিল্পের উন্নতি এবং প্রসারের জন্য দেওয়া হয়।

সম্প্রতি, ২০২৩ সালের এই পুরস্কারের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে, যা শিল্পী এবং শিল্প সমালোচকদের মধ্যে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এই বছর মনোনয়ন পাওয়া শিল্পীরা তাদের কাজের মাধ্যমে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয়কে তুলে ধরেছেন।

এই তালিকার অন্যতম শিল্পী হলেন মোহাম্মদ সামি। তিনি একজন চিত্রশিল্পী, যিনি যুদ্ধ এবং অভিবাসন সম্পর্কিত বিষয়গুলি নিয়ে কাজ করেন। তাঁর ছবিতে যুদ্ধের বিভীষিকা এবং বাস্তুচ্যুত মানুষের বেদনা অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

তাঁর কাজের গভীরতা এবং শৈল্পিকতা দর্শকদের মন জয় করে।

তালিকায় আরও একজন উল্লেখযোগ্য শিল্পী হলেন জ্যাডি জ়া। তিনি চিত্রকর্ম এবং স্থাপনা শিল্প উভয় মাধ্যমেই কাজ করেন। তাঁর শিল্পকর্ম কোরীয় এবং ভ্যাঙ্কুভারের মিথগুলির একটি মিশ্রণ।

তাঁর কাজে কল্পনাবাদী চিত্রগুলি দর্শকদের আকৃষ্ট করে।

নিনা কালু নামক শিল্পী রঙিন কাগজ এবং উল দিয়ে তৈরি ভাস্কর্যের জন্য পরিচিত। তাঁর কাজগুলি দর্শকদের মধ্যে পরিচিত এবং আকর্ষণীয়।

এছাড়াও, রেনে মাটিচ নামের একজন ফটোগ্রাফার তাঁর ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত এবং স্কিনহেড সংস্কৃতির ছবি তোলার জন্য পরিচিত। তাঁর ছবিগুলি সমাজের একটি ভিন্ন চিত্র তুলে ধরে।

এই সংক্ষিপ্ত তালিকা ঘোষণার পর, শিল্প সমালোচকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। কেউ কেউ মনে করেন, এই তালিকাটি সমসাময়িক ব্রিটিশ সমাজের সঙ্গে কতটা সম্পর্কযুক্ত, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যেতে পারে।

আবার অনেকের মতে, এই শিল্পকর্মগুলি বিশ্বজুড়ে শিল্পের একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে সক্ষম।

টার্নার পুরস্কারের এই তালিকা শিল্পকলার জগতে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণার পর, এই বিতর্ক আরও বাড়বে বলে আশা করা যায়। বাংলাদেশের শিল্পকলার জগৎেও এই ধরনের পুরস্কার এবং শিল্পকর্মগুলি নিয়ে আলোচনা হওয়া প্রয়োজন, যা আমাদের সংস্কৃতিকে আরও সমৃদ্ধ করবে।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *