হলিউডের এক সময়ের শিশু শিল্পী সোফি নাইওয়েডের (Sophie Nyweide) আকস্মিক মৃত্যু নিয়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মাত্র ২৪ বছর বয়সে গত ১৪ই এপ্রিল শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
বেনিংটন, ভারমন্টের (Bennington, Vermont) পুলিশ তার মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে নেমেছে, যেখানে সম্ভাব্য ‘ফাউল প্লে’ বা হত্যার সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সোফির পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিনি ২০০৬ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত হলিউডে কাজ করেছেন। তার মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি।
ময়নাতদন্তের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে, যেখানে প্রায় ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ সময় লাগতে পারে বলে জানা গেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার সময় সোফি একটি অস্থায়ী কাঠামোর কাছে ছিলেন এবং তার সঙ্গে একজন পুরুষ ছিলেন, যিনি পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করছেন।
তাকে এখনো পর্যন্ত সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়নি।
সোফির মা শেলির (Shelly) ভাষ্য অনুযায়ী, তার মেয়ে মাদকাসক্ত ছিলেন। তিনি আরও জানান, মৃত্যুর সময় সোফির সঙ্গে অপরিচিত কিছু মানুষ ছিল।
শোকাহত শেলির কথায়, “আমার জানা মতে, সে মাদক ব্যবহার করত এবং খুবই ছোট বয়সের একজন মেয়ে ছিল। তার সঙ্গে আরও কিছু মানুষ ছিল যখন তার মৃত্যু হয়। আমি তাদের চিনি না। তদন্ত চলছে এবং ময়নাতদন্তের ফল এখনো আসেনি।”
শেলি তার মেয়ের হলিউডের জীবন নিয়ে ওঠা কিছু গুঞ্জন প্রসঙ্গে বলেন, “সেখানে কাজ করার সময় আমার মেয়ের সঙ্গে কোনো খারাপ ঘটনা ঘটেনি। সে সব সময় নিরাপদ ছিল।”
সোফির মৃত্যুর পর তার পরিবারের সদস্যরা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। শোক বার্তায় জানানো হয়েছে, সোফি সম্ভবত মানসিক আঘাত থেকে মুক্তি পেতে ‘সেলফ-মেডিকেশন’ এর আশ্রয় নিয়েছিলেন।
তার আত্মার শান্তি কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবার।
সোফির অভিনয় জীবন ছিল বেশ উজ্জ্বল। তিনি মিশেল উইলিয়ামস, রাসেল ক্রো, জেনিফার কনেলি, অ্যান্থনি হপকিন্স এবং এমা ওয়াটসনের মতো খ্যাতনামা তারকাদের সঙ্গে কাজ করেছেন।
‘নোহ’ এবং ‘মার্গট অ্যাট দ্য ওয়েডিং’-এর মতো চলচ্চিত্রে তার অভিনয় দর্শক মহলে প্রশংসিত হয়েছিল। ২০১৫ সালে প্রচারিত একটি রিয়েলিটি শো ‘হোয়াট উড ইউ ডু’-তে (What Would You Do) তিনি শেষবারের মতো ক্যামেরার সামনে আসেন।
যদি কোনো ব্যক্তি মাদকাসক্তি অথবা মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যায় ভুগেন, তাহলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী ব্যক্তিরা SAMHSA হেল্পলাইন (1-800-662-HELP) নম্বরে ফোন করে সাহায্য নিতে পারেন।
বাংলাদেশে মাদকাসক্তি বিষয়ক সাহায্যের জন্য, অনলাইনে অনুসন্ধান করে নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যেতে পারে।
তথ্য সূত্র: পিপল