গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ১৩ জন নিহত, ধ্বংসস্তূপে জীবিত?”,

গাজা শহরে একটি আশ্রয়কেন্দ্রে ইসরায়েলি হামলায় ১৩ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ৬ জন আটকা পড়ে আছেন। বুধবার গভীর রাতে চালানো এই হামলায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আল জাজিরার প্রতিনিধি হানি মাহমুদ জানান, উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া ব্যক্তিদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না, কারণ তাদের কাছে ভারী সরঞ্জাম নেই।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজাজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় ৩৯ জন নিহত এবং ১০৫ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য।

একদিকে যখন হতাহতের ঘটনা বাড়ছে, তখন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস হামাসকে গাজায় আটক ইসরায়েলি বন্দীদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

অন্যদিকে, হামাস তাদের অবস্থানে অনড়। তারা বলছে, ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার এবং যুদ্ধ বন্ধের বিনিময়ে তারা বন্দীদের মুক্তি দিতে প্রস্তুত। তবে ইসরায়েলের অস্ত্র সমর্পণের দাবিকে তারা ‘রেড লাইন’ হিসেবে বিবেচনা করছে।

যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা এখনও পর্যন্ত কার্যত ভেস্তে গেছে। ১৮ই মার্চ থেকে ইসরায়েল পুনরায় আক্রমণ শুরু করার পর থেকে আলোচনা স্থবির হয়ে পড়েছে।

কাতার সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল থানি জানিয়েছেন, যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে তারা এখনো আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। হামাসের একটি প্রতিনিধিদল নতুন করে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার জন্য মঙ্গলবার কায়রোতে পৌঁছেছে।

এদিকে, গাজায় খাদ্য ও ঔষধসহ জরুরি ত্রাণ সরবরাহ এখনো ইসরায়েল বাধা দিচ্ছে। এই বিষয়ে ফ্রান্স, জার্মানি এবং যুক্তরাজ্য ইসরায়েলের তীব্র সমালোচনা করেছে।

দেশগুলো ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে ‘অসহনীয়’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেছে, মানবিক ত্রাণকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা উচিত না। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য ত্রাণ সরবরাহ নিশ্চিত করতে ইসরায়েল বাধ্য।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ১,৯২৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। সবমিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ৫১,৩০০ ছাড়িয়ে গেছে।

তথ্য সূত্র: আল জাজিরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *