কানাডার একজন জনপ্রিয় শিল্পী, যিনি রূপান্তরকামী হিসেবে পরিচিত, তার আসন্ন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর বাতিল করতে বাধ্য হয়েছেন। এর কারণ, সম্প্রতি মার্কিন অভিবাসন নীতিমালায় পরিবর্তন আনা হয়েছে, যেখানে শুধুমাত্র দুটি লিঙ্গ – পুরুষ এবং মহিলা – কে স্বীকৃতি দেওয়া হবে।
এই সিদ্ধান্তের ফলে পাসপোর্ট এবং ভিসার তথ্যের অমিল হওয়ায় তার ভিসা পেতে সমস্যা হচ্ছিল।
বেল্স লারসেন নামের এই শিল্পী মূলত একজন সঙ্গীতশিল্পী এবং গীতিকার। তিনি তার নতুন অ্যালবাম “ব্লারিং টাইম”-এর প্রচারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে কনসার্ট করার পরিকল্পনা করেছিলেন।
কিন্তু, নতুন নীতির কারণে তাকে আটটি শহরে কনসার্ট বাতিল করতে হয়েছে। লারসেনের পাসপোর্ট অনুযায়ী তিনি পুরুষ, কিন্তু ভিসার আবেদনে এই তথ্যের মিল না থাকায় জটিলতা তৈরি হয়।
লারসেন জানান, তিনি এই পরিস্থিতিতে হতাশ এবং তার শিল্পী জীবনের উপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
তিনি বলেন, “আমার মনে হচ্ছে আমার সম্প্রদায়ের মানুষকে সম্পূর্ণভাবে মানুষ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে না। আমার রুটি-রুজি কেড়ে নেওয়া হয়েছে, তবে এই ঘটনা আমার চেয়ে অনেক বড় কিছু।”
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই নতুন নীতির কারণে শুধু বেল্স লারসেনই নন, আরও অনেক রূপান্তরকামী শিল্পী তাদের কনসার্ট বাতিল করতে বাধ্য হচ্ছেন।
টি থমাসন নামের একজন শিল্পী জানিয়েছেন, ভিসার মেয়াদ থাকলেও তিনি একটি কনসার্ট বাতিল করেছেন, কারণ সীমান্ত নিরাপত্তা কর্মীদের হয়রানির শিকার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই নীতি নিয়ে অভিবাসন আইনজীবীরাও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, কর্তৃপক্ষের ধারণা, যদি কোনো রূপান্তরকামী ব্যক্তির লিঙ্গ পরিচয়ের সঙ্গে তাদের নথিপত্রের অমিল থাকে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ আনা হতে পারে।
লারসেন বর্তমানে কানাডা এবং ইউরোপে কনসার্ট করার পরিকল্পনা করছেন।
তিনি বলেন, “নীতি দিয়ে আপনার অস্তিত্বকে বাতিল করা যায় না। কোনো রাজনীতিবিদ এটা ঠিক করতে পারেন না যে আপনি আছেন নাকি নেই। আপনি যা, তাই।”
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান