বিশ্বজুড়ে কয়েক হাজার মানুষ পোপ ফ্রান্সিসের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছেন। খবর পাওয়া যাচ্ছে, ভ্যাটিকানের সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায় তাঁর মরদেহ জনসাধারণের জন্য রাখা হয়েছে, যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মানুষের ঢল নেমেছে।
পোপের প্রয়াণে শোকাহত মানুষেরা তাঁর কফিনের সামনে নীরবে দাঁড়াচ্ছেন, কেউ বা চোখের জল ফেলছেন।
৮৮ বছর বয়সী পোপ ফ্রান্সিস সোমবার মারা যান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন এবং নিউমোনিয়া ও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে।
তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া আগামী শনিবার সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাঁকে রোমের সান্তা মারিয়া ম্যাজোর ব্যাসিলিকায় সমাহিত করা হবে।
পোপ ফ্রান্সিসের মরদেহ দেখার জন্য আসা মানুষের মধ্যে ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের বাইরে অন্য ধর্মাবলম্বীরও উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। জার্মানির নাগরিক গুনার প্রিয়েস জানান, তিনি শুধু এই দৃশ্য দেখার জন্য ইতালিতে এসেছেন।
তিনি বলেন, “আমি ক্যাথলিক নই, তবে এখানকার দৃশ্য খুবই মহিমান্বিত। এটি একটি পবিত্র আচার, যা ২ হাজার বছর ধরে চলে আসছে। ভ্যাটিকানের এক বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে, যা আমি অনুভব করতে চেয়েছিলাম।”
পোপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের আসার কথা রয়েছে। এর মধ্যে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী, মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং প্রিন্স উইলিয়ামও থাকতে পারেন বলে জানা গেছে।
এদিকে, পোপের মৃত্যুর পর তাঁর উত্তরসূরি নির্বাচনের প্রক্রিয়াও শুরু হতে যাচ্ছে। খুব শীঘ্রই নতুন পোপ নির্বাচনের জন্য কার্ডিনালদের গোপন বৈঠক (কনক্লেভ) বসবে।
এই প্রক্রিয়া সাধারণত শোক পালনের কয়েক দিন পর শুরু হয়। সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে ফিলিপাইনের সংস্কারপন্থী লুইস আন্তোনিও ট্যাগলে এবং ইতালির পিট্রো পারোলিনের নাম শোনা যাচ্ছে।
পোপ ফ্রান্সিসের প্রয়াণে বিশ্বজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাঁর সরল জীবনযাপন এবং মানবতাবাদী কাজের জন্য তিনি সকলের কাছে শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন।
তাঁর প্রয়াণে বাংলাদেশের ক্যাথলিক সম্প্রদায়সহ বিভিন্ন মহলে শোক প্রকাশ করা হয়েছে।
তথ্য সূত্র: