শেষ বিদায়: পোপ ফ্রান্সিসের প্রতি ভালোবাসায় রাতভর খোলা সেন্ট পিটার্স!

ভ্যাটিকানে পোপ ফ্রান্সিসের শেষ শ্রদ্ধা জানাতে মানুষের ঢল, সারা রাত খোলা ছিল সেন্ট পিটার্স।

আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিসের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ভ্যাটিকানে মানুষের ব্যাপক সমাগম হয়। অপ্রত্যাশিত এই ভিড়ের কারণে সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকা জনসাধারণের জন্য সারা রাত খোলা রাখা হয়।

বুধবার শেষকৃত্যের জন্য পোপের মরদেহ রাখা হলে সেখানে কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হন, যা কর্তৃপক্ষের ধারণাকেও ছাড়িয়ে যায়।

সোমবার ৮৮ বছর বয়সে পোপ ফ্রান্সিসের প্রয়াণের পর শোকস্তব্ধ মানুষজন তাদের প্রিয় ধর্মগুরুর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ছুটে আসেন। সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকার অভ্যন্তরে পোপের মরদেহ দেখার জন্য দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়।

শোকাহত মানুষের এই ভিড় নিয়ন্ত্রণে আনতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় ভ্যাটিকান কর্তৃপক্ষকে। বুধবার সকাল থেকে শুরু হওয়া শ্রদ্ধা নিবেদনের প্রক্রিয়া চলে একটানা।

শুধুমাত্র এক ঘণ্টার জন্য, বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য বন্ধ ছিল ব্যাসিলিকা।

পোপ ফ্রান্সিসের সাদাসিধে জীবনযাপন এবং দরিদ্র ও নিপীড়িত মানুষের প্রতি তাঁর গভীর ভালোবাসার কারণে তিনি বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় ছিলেন। তাঁর মানবিক গুণাবলী এবং সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতার বিষয়টি সবসময় প্রশংসিত হয়েছে।

মানুষের প্রতি তাঁর এই গভীর ভালোবাসাই যেন শোকাহত জনতাকে আরও বেশি করে আকৃষ্ট করেছে।

মেক্সিকো থেকে আসা এমিলিয়ানো ফার্নান্দেজ জানান, তিনি মধ্যরাতে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন এবং তখনও ব্যাসিলিকায় পৌঁছাতে পারেননি। তিনি বলেন, “আমি কতক্ষণ অপেক্ষা করব, তা নিয়ে আমার কোনো চিন্তা নেই।

আমি শুধু সুযোগটা কাজে লাগাতে চাই, যাতে প্রমাণ করতে পারি আমি ফ্রান্সিসকে কতটা ভালোবাসি।” ২০১৬ সালে মেক্সিকো সফরের সময় পোপের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা আরও বেড়ে যায়।

পোপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শনিবার সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে, যেখানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা উপস্থিত থাকবেন। এরপর তাঁকে সেন্টা মারিয়া ম্যাজোর ব্যাসিলিকায় সমাহিত করা হবে।

তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *