ফুটবল মাঠের মহান বন্ধু: পোপের প্রিয় ক্লাবের কান্না!

শিরোনাম: প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিসের প্রতি গভীর শোক, প্রিয় ফুটবল ক্লাব সান লরেন্সোর অশ্রুসিক্ত শ্রদ্ধা

আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস আইরেসের একটি ফুটবল ক্লাব, সান লরেন্সো, তাদের সবচেয়ে বিখ্যাত সমর্থক, পোপ ফ্রান্সিসের প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেছে। সম্প্রতি প্রয়াত হওয়া এই ধর্মগুরুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ক্লাবটিতে বিশেষ প্রার্থনা সভার আয়োজন করা হয়।

খবর সূত্রে জানা যায়, পোপ ফ্রান্সিস, যিনি একাধারে একজন ধর্মযাজক এবং ফুটবলপ্রেমী হিসেবে পরিচিত ছিলেন, জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সান লরেন্সো ক্লাবের সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত ছিলেন।

পোপ ফ্রান্সিস, জন্মসূত্রে জর্জ মারিও বের্গোলিও, ছোটবেলায় তাঁর বাবার সঙ্গে প্রায়ই এই ক্লাবের খেলা দেখতে যেতেন। খেলাধুলার প্রতি তাঁর এই ভালোবাসা ছিল আজীবন।

এমনকি পোপ নির্বাচিত হওয়ার পরেও, তিনি নিয়মিতভাবে এই ক্লাবের সদস্যপদ বজায় রেখেছিলেন। ক্লাবটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, পোপ ফ্রান্সিসের প্রয়াণে তারা একজন ‘বন্ধু’কে হারিয়েছে।

শোক প্রকাশ করে ক্লাবটির সদস্যরা জানান, পোপ ফ্রান্সিস ছিলেন তাদের কাছে শুধু একজন ভক্ত নন, বরং একজন অভিভাবকস্বরূপ।

১৯০৮ সালে ফাদার লরেন্সো মাসা কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত সান লরেন্সো ক্লাবটি, মূলত সমাজের পিছিয়ে পড়া শিশুদের জন্য কাজ করত।

পোপ ফ্রান্সিস সব সময়ই এই ক্লাবের কার্যক্রমকে সমর্থন করতেন এবং এর আদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। তাঁর মানবিক গুণাবলী এবং সাধারণ জীবনযাপনের কারণে তিনি ‘জনগণের পোপ’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

পোপের মৃত্যুর কয়েকদিন আগে, ক্লাবটির বর্তমান সভাপতির বিরুদ্ধে আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ উঠেছে, খেলোয়াড় বাছাইয়ের জন্য তিনি ঘুষ নিয়েছেন।

এই ঘটনায় ক্লাবটির ভক্তদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। অনেকে মনে করছেন, পোপের প্রয়াণের এই শোকের সময়ে এমন একটি ঘটনা অপ্রত্যাশিত।

অন্যদিকে, অনেকে আবার পোপের ক্লাব সদস্যপদ নম্বর এবং মৃত্যুর সময়ের মধ্যে একটি ‘দৈব যোগসূত্র’ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। তাঁদের মতে, পোপের ক্লাব সদস্যপদ নম্বর ছিল ৮৮,২৩৫।

তাঁর বয়স ছিল ৮৮ বছর এবং মৃত্যুর সময় ছিল বুয়েনস আইরেসের স্থানীয় সময় রাত ২টা ৩৫ মিনিট। এই সংখ্যাগুলোর মধ্যে মিল খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা চলছে।

পোপ ফ্রান্সিসের সান লরেন্সো ক্লাবের প্রতি ভালোবাসা এবং তাঁর প্রয়াণে ক্লাবের শোক প্রকাশ, আর্জেন্টিনার মানুষের কাছে এক গভীর আবেগের জন্ম দিয়েছে। তাঁর মানবিকতা, খেলাধুলার প্রতি অনুরাগ এবং সাধারণ মানুষের প্রতি ভালোবাসার কারণে তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *