পোপ ফ্রান্সিসের প্রয়াণে বিশ্বজুড়ে শোকের ছায়া, শেষকৃত্যে যোগ দেবেন বিশ্ব নেতারা।
সোমবার, ২১শে এপ্রিল, ৮৮ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস (পোপ ফ্রান্সিস)। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটেছিল এবং এর ফলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
ভ্যাটিকান সিটিতে তাঁর প্রয়াণের খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোকের ছায়া নেমে আসে বিশ্বজুড়ে।
পোপের মরদেহ সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায় (সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকা) রাখা হয়েছে, যেখানে হাজার হাজার শোকাহত মানুষ তাঁদের প্রিয় ধর্মগুরুকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ভিড় করছেন। জনসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর সুবিধার জন্য ভ্যাটিকান সিটি কর্তৃপক্ষ সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকা (সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকা) খোলা রাখার সময়সীমা বাড়িয়ে দেয়।
বুধবার সারারাত ব্যাপী এই ব্যাসিলিকা খোলা ছিল, এবং বৃহস্পতিবার খুব অল্প সময়ের জন্য, সকাল ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত, এটি বন্ধ ছিল।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, জনসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের প্রথম আট ঘণ্টায় প্রায় ২০,০০০ মানুষ পোপের মরদেহ দর্শন করেন।
পোপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া আগামী ২৬শে এপ্রিল, শনিবার অনুষ্ঠিত হবে। এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের আসার কথা রয়েছে।
প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) এবং প্রিন্স উইলিয়াম (Prince William) সহ আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।
ব্রিটেনের রাজপরিবারের পক্ষ থেকে প্রিন্স উইলিয়াম তাঁর বাবা, রাজা তৃতীয় চার্লসের (King Charles III) প্রতিনিধিত্ব করবেন। পোপের প্রয়াণে শোক প্রকাশ করে রাজা চার্লস এক বিবৃতিতে জানান, তিনি পোপের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের কথা স্মরণ করছেন।
পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে শুধু ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের মানুষজনই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ শোক প্রকাশ করেছেন। তাঁর মানবিক গুণাবলী এবং সাধারণ মানুষের প্রতি ভালোবাসার জন্য তিনি সকলের কাছে শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন।
পোপ ফ্রান্সিস সবসময় শান্তি ও মানবতার কথা বলেছেন, এবং তাঁর এই আদর্শ বিশ্বজুড়ে মানুষের মনে গভীর রেখাপাত করেছে।
তথ্য সূত্র: পিপল