ইউরোপ স্বপ্ন! ফুলহ্যামের পথে টনি খানের সাহসী ঘোষণা!

ফুটবল বিশ্বে পরিচিত ক্লাব ফুলহ্যাম। সম্প্রতি ক্লাবটির ভাইস-চেয়ারম্যান ও ফুটবল পরিচালক টনি খানের একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে তিনি ক্লাবের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, মাঠের উন্নয়ন এবং ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেছেন।

টনি খান মনে করেন, ফুলহ্যামের ইউরোপীয়ান প্রতিযোগিতায় খেলার সুযোগ এখনো রয়েছে। তিনি বলেন, “আমাদের হাতে এখনো অনেকগুলো ম্যাচ বাকি আছে এবং আমরা ভালোভাবেই সেই দিকে এগোচ্ছি। ক্লাব হিসেবে আমরা অনেক ভালো করছি এবং ভবিষ্যতে আরও অনেক কিছু অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে।”

টনি খানের বাবা, শাহিদ খান, ২০১২ সালে ফুলহ্যাম কিনেছিলেন। শুরুতে কিছু সমস্যা থাকলেও, এখন ক্লাবের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল বলেই মনে করা হচ্ছে।

ক্লাবটির উন্নতির পেছনে অন্যতম কারণ হলো মাঠের পরিবেশ। টনি খান বলেন, “আমরা এখানে একটি পরিবারের মতো পরিবেশ তৈরি করেছি। খেলোয়াড় থেকে শুরু করে ক্লাবের কর্মকর্তা-কর্মচারী সবার মধ্যে একটা আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। এই ‘ক্র্যাভেন কটেজ’ ক্লাবটির একটি নিজস্ব পরিচিতি তৈরি করেছে এবং মার্কো সিলভা এই প্রক্রিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।”

মার্কো সিলভার অধীনে ফুলহ্যাম ভালো ফল করছে এবং ইউরোপের বিভিন্ন টুর্নামেন্টে খেলার স্বপ্ন দেখছে।

মার্কো সিলভার প্রশিক্ষণে খেলোয়াড় বাছাইয়ের ক্ষেত্রে টনি খান তথ্য-উপাত্তের (অ্যানালিটিক্স) ওপর জোর দেন। খেলোয়াড় নির্বাচনের ক্ষেত্রে তিনি মার্কো সিলভার সঙ্গে আলোচনা করেন। মার্কো মাঠের খেলা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেন এবং সেই অনুযায়ী তার নিজস্ব বিশ্লেষণ তৈরি করেন। টনি খানও তার নিজস্ব ডেটা বিশ্লেষণ করে একটি তথ্যপূর্ণ প্রতিবেদন তৈরি করেন।

ক্লাবের উন্নতির জন্য স্টেডিয়ামের আধুনিকীকরণ করা হয়েছে। নতুন ‘রিভারসাইড স্ট্যান্ড’ তৈরি হওয়ার পর মাঠের দর্শক ধারণ ক্ষমতা ২৯,৫৮৯ জনে বৃদ্ধি পেয়েছে।

টনি খান মনে করেন, মাঠের এই উন্নয়ন দর্শকদের ভালো অভিজ্ঞতা দিচ্ছে এবং ক্লাবের রাজস্ব বাড়াতে সহায়ক হচ্ছে। তবে, টিকিটের দাম নিয়ে কিছু সমর্থকের মধ্যে অসন্তুষ্টি রয়েছে।

টনি খান আর্থিক ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্ব দেন এবং খেলোয়াড় কেনাবেচার ক্ষেত্রে লাভ-ক্ষতি হিসাব করেন। সম্প্রতি, ক্লাবটি আলেকজান্ডার মিত্রোভিচ এবং জোয়াও পালহিনহার মতো খেলোয়াড়দের বিক্রি করে ভালো লাভ করেছে।

বর্তমানে ফুলহ্যামের স্কোয়াডে অভিজ্ঞ এবং তরুণ খেলোয়াড়ের মিশ্রণ রয়েছে। রায়ান সেসেগনন-এর মতো একাডেমি থেকে উঠে আসা খেলোয়াড়রা ভালো খেলছে। একইসাথে, রাউল জিমিনেজ, উইলিয়ান, টিমোথি কাসতাঁয়ে, আদামা ট্রাওরে, বার্নড লেনো, ইসা দিওপ এবং অ্যালেক্স ইওবি-র মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় খেলার যোগ্যতা অর্জন ফুলহ্যামের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তবে টনি খান আত্মবিশ্বাসী যে তারা তাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *