ট্রাম্পের শুল্ক: বাড়ছে দ্রব্যমূল্য, উদ্বিগ্ন মার্কিন জনতা!

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতি নিয়ে জনগণের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। সম্প্রতি একটি জরিপে দেখা গেছে, দেশটির নাগরিকদের একটি বড় অংশ মনে করছেন, ট্রাম্পের শুল্ক নীতির কারণে জিনিসপত্রের দাম আরও বাড়বে।

সেই সাথে, অনেক আমেরিকান আসন্ন মন্দা নিয়েও শঙ্কিত।

এপি-নোরক সেন্টার ফর পাবলিক অ্যাফেয়ার্স রিসার্চের জরিপ অনুসারে, প্রায় অর্ধেক মার্কিন নাগরিক মনে করেন ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতি তাদের দৈনন্দিন খরচ বাড়িয়ে দেবে।

এছাড়া, প্রতি ১০ জনের মধ্যে তিনজন মনে করেন, দাম কিছুটা হলেও বাড়বে। খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়েও তাদের মধ্যে গভীর উদ্বেগ দেখা যাচ্ছে।

প্রায় ৬ জন মার্কিনীর মধ্যে ৪ জন মনে করেন আগামী কয়েক মাসে মুদি দোকানের খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে।

এই পরিস্থিতিতে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অর্থনীতি ব্যবস্থাপনার উপর জনগণের আস্থা কমছে।

জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় ৪০ শতাংশ আমেরিকান মনে করেন, প্রেসিডেন্ট অর্থনীতি এবং বাণিজ্য আলোচনা ভালোভাবেই পরিচালনা করছেন।

তবে, এই সংখ্যাটি আগের তুলনায় সামান্য কমেছে। অনেকে মনে করছেন, শুল্ক নীতি নিয়ে ট্রাম্পের নেওয়া পদক্ষেপগুলো সঠিক নয়।

বিভিন্ন পণ্যের উপর শুল্ক আরোপের বিষয়েও আমেরিকানদের মধ্যে ভিন্নমত রয়েছে।

জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৫২ শতাংশ অন্যান্য দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসা সব পণ্যের উপর শুল্ক আরোপের বিপক্ষে মত দিয়েছেন।

জানুয়ারিতে এই সংখ্যা ছিল ৪৬ শতাংশ।

এই শুল্ক নীতির কারণে অনেকেই তাদের জীবনযাত্রায় পরিবর্তনের আশঙ্কা করছেন।

যদিও বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি স্থিতিশীল রয়েছে এবং বেকারত্বের হার ৪.২ শতাংশ, তারপরও ভোক্তাদের মধ্যে আস্থার অভাব দেখা যাচ্ছে।

শেয়ার বাজারেও কিছুটা দরপতন হয়েছে, যা মানুষের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই শুল্ক নীতি বিশ্ব অর্থনীতির জন্য একটি কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।

বিশেষ করে চীনসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চলমান বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে।

এই জরিপে ১,২৬০ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মতামত নেওয়া হয়েছে, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে।

জরিপের ফলাফল অনুযায়ী, সাধারণ মানুষের মধ্যে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়ছে এবং তারা তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন।

তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *