হাহাকার! বন্ধ হতে চলেছে ২০০-র বেশি জ্যাক ইন দ্য বক্স?

যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় ফাস্ট ফুড চেইন ‘জ্যাক ইন দ্য বক্স’ তাদের লোকসানে চলা প্রায় ২০০টি শাখা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একইসঙ্গে, তারা তাদের মালিকানাধীন ‘ডেল টাকো’ ব্র্যান্ডটি বিক্রি করারও চিন্তাভাবনা করছে।

সম্প্রতি, খাদ্য বাজারের চাহিদা কমে যাওয়ায় এবং ব্যবসার অন্য কিছু কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটি। খবর অনুযায়ী, মূলত যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলে থাকা এই রেস্টুরেন্টগুলো বন্ধ করা হবে।

কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বর্তমানে জ্যাক ইন দ্য বক্সের প্রায় ২,২০০টি শাখা রয়েছে। তাদের পরিকল্পনা হলো, এই বছর শেষ হওয়ার আগেই প্রায় ৮০ থেকে ১২০টি শাখা বন্ধ করে দেওয়া হবে।

কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ল্যান্স টাকার এক বিবৃতিতে জানান, “আমাদের নগদ প্রবাহ বৃদ্ধি এবং ঋণের বোঝা কমানোর জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।” তিনি আরও জানান, আগামী দুই বছরের মধ্যে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (আনুমানিক ৩২৭০ কোটি বাংলাদেশী টাকা) ঋণ পরিশোধের লক্ষ্য রয়েছে তাদের।

ডেল টাকো-র বিষয়ে তিনি বলেন, “আমার মনে হয় না, আগামী কয়েক বছরে ডেল টাকো জ্যাক ইন দ্য বক্সের মুনাফায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারবে। তাই, এটিকে অন্য কারও কাছে হস্তান্তর করাই ভালো।” উল্লেখ্য, ডেল টাকো-কে তারা মাত্র তিন বছর আগেই কিনেছিল।

তবে, বাজারের কঠিন প্রতিযোগিতা এবং ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির কারণে ব্র্যান্ডটি প্রত্যাশা অনুযায়ী ফল করতে পারেনি।

জ্যাক ইন দ্য বক্স জানিয়েছে, ২০২৩ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ডেল টাকোর বিক্রি ৩.৬ শতাংশ কমেছে। একই সময়ে, জ্যাক ইন দ্য বক্সের বিক্রিও ৪.৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

বাজারে টিকে থাকতে না পারার কারণে, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারের দামও কমে গেছে। গত এক বছরে এর শেয়ারের দাম প্রায় ৫৭ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস পেয়েছে।

বর্তমানে ফাস্ট ফুড ব্যবসার বাজারে বেশ অস্থিরতা চলছে। অনেক কোম্পানিই তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম নিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।

উদাহরণস্বরূপ, বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ফাস্ট ফুড চেইন ম্যাকডোনাল্ডস-ও বছরের শুরুতে কিছুটা ধীরগতিতে ব্যবসা করছে। যদিও, এই পরিস্থিতিতেও ‘টাকো বেল’ তাদের বিক্রয়ে ৮ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে, যা তাদের নতুন মেনু আইটেমগুলোর কারণে সম্ভব হয়েছে।

এই ঘটনা আন্তর্জাতিক বাজারের অস্থিরতা এবং পরিবর্তিত অর্থনৈতিক পরিস্থিতির একটি উদাহরণ। খাদ্য ব্যবসার সঙ্গে জড়িত অন্যান্য কোম্পানিগুলোর জন্যেও এটি একটি সতর্কবার্তা।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *