উইনস্টিনের বিচার: ভয়ংকর অভিযোগ, তরুণীর গোপন জবানবন্দি!

হলিউডের এক সময়ের প্রভাবশালী চলচ্চিত্র প্রযোজক হার্ভে ওয়াইনস্টাইনের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন নিপীড়নের অভিযোগের শুনানি আবারও শুরু হয়েছে নিউইয়র্কে। কয়েক বছর আগে হওয়া একটি মামলার রায় বাতিল হওয়ার পর, নতুন করে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

এবার অভিযোগকারী নারীদের মধ্যে রয়েছেন মিমি হ্যালি, জেসিকা ম্যান এবং কায়া সোকোলা।

শুনানিতে সরকারি কৌঁসুলিরা জানিয়েছেন, ওয়াইনস্টাইন কীভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নারীদের ওপর যৌন নির্যাতন চালাতেন। তারা তুলে ধরেন, কিভাবে হলিউডে নিজের প্রভাব খাটিয়ে নারীদের মুখ বন্ধ রাখতেন এই প্রভাবশালী প্রযোজক।

মি. ওয়াইনস্টাইনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে গুরুতর যৌন নির্যাতন এবং ধর্ষণের মতো গুরুতর বিষয়।

আদালতে কায়া সোকোলার অভিযোগ বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। তার ভাষ্যমতে, ২০০২ সালে ১৬ বছর বয়সে এক মডেলিংয়ের সময় ওয়াইনস্টাইনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়।

পরে একটি নৈশভোজে তাদের দেখা হয় এবং সেখানে ওয়াইনস্টাইন তাকে তার অ্যাপার্টমেন্টে নিয়ে যান, যেখানে তার ওপর যৌন নিপীড়ন চালানো হয়। ২০১৬ সালেও তিনি একই ধরনের ঘটনার শিকার হন বলে অভিযোগ।

অন্যদিকে, ওয়াইনস্টাইনের আইনজীবী বলছেন, অভিযোগকারী নারীদের সঙ্গে তার মক্কেলের সম্পর্ক ছিল পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে এবং তাদের মধ্যে কিছু সুবিধা লেনদেন হতো।

আইনজীবীর দাবি, নারীরা তাদের ক্যারিয়ারের উন্নতির জন্য ওয়াইনস্টাইনের সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছিলেন। তবে, সরকারি কৌঁসুলিরা বলছেন, নারীদের মুখ বন্ধ করার জন্য ওয়াইনস্টাইন তার ক্ষমতার চূড়ান্ত ব্যবহার করেছেন।

আদালতে মামলার শুনানিতে #মি টু আন্দোলনের প্রসঙ্গও উঠে আসে। আইনজীবীরা জানান, এই আন্দোলনের কারণেই নারীরা তাদের ওপর হওয়া নির্যাতনের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পেয়েছেন।

ওয়াইনস্টাইনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে, ২০১৪ সালে ম্যানহাটনের একটি হোটেলে জেসিকা ম্যানকে ধর্ষণ এবং ২০০৬ সালে মিমি হ্যালির ওপর যৌন নিপীড়ন। এই অভিযোগগুলোর ভিত্তিতেই মূলত পুনরায় বিচারকাজ চলছে।

এর আগে, ২০২০ সালে ওয়াইনস্টাইনের একটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন, তবে সেই রায় বাতিল হয়ে যায়।

আদালতে বিচার প্রক্রিয়া এখনো চলছে এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো প্রমাণ করতে সরকারি কৌঁসুলিরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। একই সঙ্গে, ওয়াইনস্টাইনের আইনজীবীরা তাদের মক্কেলের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরছেন।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *