প্যারিস অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জয়ী ব্রাজিলের জিমন্যাস্ট রিবেকা আন্দ্রাদে এখনো সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তের কথা মনে করে শিহরিত হন। যেখানে তিনি সতীর্থ সিমোন বাইলস এবং জর্ডান চাইলসের সঙ্গে পোডিয়ামে ছিলেন। এই দৃশ্য শুধু ক্রীড়া প্রেমীদের কাছেই নয়, বরং সারা বিশ্বের কাছে এক দারুণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
২০২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিকে ফ্লোর ইভেন্টে স্বর্ণপদক জেতেন আন্দ্রাদে। পোডিয়ামে বাইলস ও চাইলসের সঙ্গে তার এই মুহূর্তটি ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনজন কৃষ্ণাঙ্গ নারী অ্যাথলেটের একসঙ্গে পদক জয় ছিল এক বিরল দৃশ্য। যা ক্রীড়াঙ্গনে নারী ও বর্ণের প্রতি সম্মান আরও বাড়িয়ে দেয়।
আন্দ্রেদের এই সাফল্যের পথ সহজ ছিল না। ২০১৫, ২০১৭ এবং ২০১৯ সালে—এই তিনবার হাঁটুতে গুরুতর আঘাত পান তিনি। এই ইনজুরির কারণে তার ক্যারিয়ার হুমকির মুখে পড়েছিল। অস্ত্রোপচার ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়া ছিল বেশ কঠিন। তবে, পরিবারের সমর্থন এবং নিজের ইচ্ছাশক্তির জোরে তিনি বারবার ফিরে এসেছেন।
রিবেকা আন্দ্রাদে বলেন, “আমার পরিবারের সমর্থন আমাকে সবসময় সাহস জুগিয়েছে। তারা সবসময় আমার পাশে ছিল, এবং আমি জানতাম, আমি আবার ফিরতে পারব।”
প্যারিস অলিম্পিকে বাইলসের সঙ্গে তার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়, যেখানে মাত্র ০.০৩৩ পয়েন্টের ব্যবধানে তিনি জয়ী হন। এই জয় প্রমাণ করে, কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করে কিভাবে সাফল্যের চূড়ায় ওঠা যায়।
আন্দ্রেদের এই ফিরে আসা এবং সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ, তিনি ২০২৩ সালের লরিয়াস ওয়ার্ল্ড স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ডসে ‘কামব্যাক অফ দ্য ইয়ার’ পুরস্কার জেতেন। তিনি বলেন, “এই পুরস্কার আমার এবং আমার দলের কঠোর পরিশ্রমের স্বীকৃতি।”
বর্তমানে, ২০২৮ সালের লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে অংশগ্রহণের বিষয়ে বাইলসের অনিশ্চয়তা রয়েছে। তবে আন্দ্রাদে সেখানে খেলতে চান। তিনি বলেন, “আমি এখনো লড়তে চাই। অলিম্পিকে খেলা আমার স্বপ্ন, এবং আমি ধীরে ধীরে সেদিকেই এগিয়ে যেতে চাই।”
তথ্য সূত্র: সিএনএন