গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ২৮, শিশুদের আর্তনাদে আকাশ ভারী!

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত অন্তত ২৮ জন, হতাহতের তালিকায় নারী ও শিশুরাই বেশি। বৃহস্পতিবার গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানিয়েছে। অক্টোবর মাসের শুরু থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলা চলছে এবং এতে হতাহতের সংখ্যা বাড়ছেই।

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনী আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। হামলায় নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, উত্তর গাজার জাবালিয়ায় একটি পুলিশ স্টেশনে চালানো হামলায় অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা হামাসের একটি কমান্ড ও কন্ট্রোল সেন্টার এবং ইসলামিক জিহাদের সদস্যদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল।

দক্ষিণ খান ইউনিসে তিনটি পৃথক হামলায় মা ও দুই সন্তানসহ অন্তত সাত জন নিহত হয়েছে। এছাড়া, মধ্য গাজায় হামলায় নারী ও শিশুসহ ছয় জন এবং গাজা শহরের একটি বাড়িতে বিমান হামলায় নিহত হয়েছে এক পরিবারের চার শিশু ও তাদের মা-বাবা।

গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা চালানোর পর থেকেই এই সংঘাত শুরু হয়। হামাসের হামলায় ইসরায়েলে প্রায় ১,২০০ জন নিহত হয়েছিল, যাদের অধিকাংশই ছিল বেসামরিক নাগরিক। এরপর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় আক্রমণ জোরদার করে। গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৫১,০০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি। তবে নিহতদের মধ্যে কতজন বেসামরিক এবং কতজন যোদ্ধা, তা স্পষ্ট নয়।

এদিকে, হামাস জানিয়েছে, তারা এখনো তাদের হাতে বন্দী থাকা ৫৯ জন জিম্মিকে মুক্তি দিতে রাজি আছে। তবে এর বিনিময়ে তারা ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি, দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধবিরতি এবং ইসরায়েলের সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার চাইছে। অন্যদিকে, ইসরায়েল হামাসকে নির্মূল করার ঘোষণা দিয়েছে। ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা প্রায় ২০,০০০ মিলিট্যান্টকে হত্যা করেছে, তবে তারা এর কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি। গাজায় খাদ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দেওয়ার কারণে সেখানকার প্রায় ২০ লাখ ফিলিস্তিনি চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।

তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *