পশ্চিমি বিশ্বে আবার ফিরছে ভিডিও স্টোর, স্ট্রিমিং-এর যুগে নস্টালজিয়া।
বর্তমান ডিজিটাল যুগে, যখন অনলাইন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলির জয়জয়কার, তখন সিনেমা প্রেমীদের জন্য একটি ভিন্ন খবর। আমেরিকাতে, বিশেষ করে নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিনে, আবার খুলছে ভিডিও স্টোর।
নাইট আউল ভিডিও নামের এই দোকানটি পুরনো দিনের স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছে, যখন মানুষ সিনেমা দেখতে সিনেমা হলে যেত অথবা ভিসিআরের যুগে দোকানে গিয়ে সিনেমা ভাড়া করে আনত।
এক সময়, ভিডিও স্টোরগুলো ছিল সিনেমা প্রেমীদের জন্য এক দারুণ ঠিকানা। পছন্দের সিনেমা খুঁজে বের করা, বন্ধুদের সাথে আলোচনা করা – এসব ছিল বিনোদনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
কিন্তু সময়ের সাথে সাথে, অনলাইন স্ট্রিমিং-এর জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে, যা এই ভৌত দোকানগুলির কদর কমিয়ে দেয়। ২০১৯ সালে শেষ হওয়া ব্লকবাস্টার-এর মতো বড় বড় ভিডিও স্টোরগুলো বন্ধ হয়ে যায়।
তবে, সম্প্রতি এই ধারণার পরিবর্তন হচ্ছে। উন্নত বিশ্বে, বিশেষ করে আমেরিকাতে, কিছু মানুষ আবার সেই পুরনো দিনের নস্টালজিয়ায় ঝুঁকছে। তারা সিনেমা দেখার জন্য আবারও দোকানে যাওয়া শুরু করেছে, যা ডিজিটাল যুগে বিরল।
নাইট আউল ভিডিও-র মতো দোকানগুলো সেই পুরনো দিনের স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছে।
যদি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দেখি, তবে এখানকার চিত্রটা কিছুটা আলাদা। একসময়, ডিভিডি ভাড়া করার দোকানগুলি বেশ জনপ্রিয় ছিল।
মানুষ সিনেমা দেখার জন্য দলবদ্ধভাবে দোকানে যেত এবং পছন্দের সিনেমা ভাড়া করে আনত। কিন্তু বর্তমানে, অনলাইন স্ট্রিমিং-এর কারণে সেই দোকানগুলি প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন প্রাইম, এবং অন্যান্য প্ল্যাটফর্মগুলি এখন সিনেমা এবং ওয়েব সিরিজের প্রধান মাধ্যম।
তবে, সিনেমা এখনো আমাদের সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সিনেমা হলগুলোতে যাওয়া বা বন্ধুদের সাথে সিনেমা দেখার আনন্দ এখনো অনেক মানুষের কাছে প্রিয়।
ডিজিটাল যুগেও, সিনেমা দেখা এবং বিনোদনের ধারণা সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হচ্ছে, কিন্তু এর আবেদন এখনো কমেনি।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান