ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে শোকের ছায়া, আরকানসাসের পাশে নেই ত্রাণ!

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরকানসাস রাজ্যে সম্প্রতি আঘাত হানা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ও টর্নেডোর (ঘূর্ণিঝড়) পর ত্রাণ সহায়তা চেয়েও তা পায়নি রাজ্যটি। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন এই সহায়তা প্রদানে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত এই রাজ্যের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর পরিবর্তে এমন সিদ্ধান্তে হতবাক অনেকে।

গত মার্চ মাসে আরকানসাস, মিসিসিপি ও মিসৌরি রাজ্যে আঘাত হানে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ও টর্নেডো। এতে ৪০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।

রাজ্যের গভর্নর সারাহ হাকাবি স্যান্ডার্স ফেডারেল সরকারের কাছে জরুরি ত্রাণ ও পুনর্বাসন সহায়তা চেয়ে আবেদন করেন। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন সেই আবেদন প্রত্যাখ্যান করে।

গভর্নর স্যান্ডার্সসহ আরকানসাসের আইনপ্রণেতারা ট্রাম্পকে তার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য অনুরোধ করেছেন। ১৮ এপ্রিল গভর্নর নিজে এই বিষয়ে একটি আবেদন জানান।

এছাড়া, রাজ্যের দুই সিনেটর টম কটন ও জন বুজম্যান এবং প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য রিক ক্রফোর্ডও ট্রাম্পকে একটি চিঠি লেখেন। চিঠিতে তারা দুর্যোগের ভয়াবহতা উল্লেখ করে ত্রাণ সহায়তা দেওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেন।

আইনপ্রণেতারা তাদের চিঠিতে উল্লেখ করেন, “এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে রাজ্যে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এবং বহু মানুষ আহত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ফেডারেল সহায়তা অত্যন্ত জরুরি।”

আশ্চর্যের বিষয় হলো, এর আগে ট্রাম্প ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি (FEMA)-এর ভূমিকা কমানোর কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে রাজ্য ও স্থানীয় সরকারগুলোর আরও বেশি সক্রিয় হওয়া উচিত।

এমনকি তিনি FEMA-কে একটি “ব্যয়বহুল এবং ব্যর্থ” সংস্থা হিসেবেও উল্লেখ করেছিলেন।

অন্যদিকে, সমালোচকরা বলছেন, ট্রাম্পের এমন পদক্ষেপ আমেরিকার দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি দুর্বল করে দেবে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সংখ্যা ও তীব্রতা বাড়ছে, এমন পরিস্থিতিতে ফেডারেল সহায়তা কমানো হলে তা রাজ্যের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনবে।

এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব। কারণ, বাংলাদেশও প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ একটি দেশ।

এমন পরিস্থিতিতে জরুরি ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রমের জন্য সরকারি সহায়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *