শেষ বিদায়: পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া, বিশ্বনেতাদের আগমন!

পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে ভ্যাটিকান সিটি, বিশ্বনেতাদের আগমন

ভ্যাটিকান সিটি, [তারিখ দিন মাস]- পোপ ফ্রান্সিসের (Pope Francis) অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার (funeral) প্রস্তুতি এখন প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে। শনিবার অনুষ্ঠিতব্য এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা নেতারা এখন ইতালিতে (Italy) এসে পৌঁছাচ্ছেন।

খবর অনুযায়ী, প্রায় ৫০ জন রাষ্ট্রপ্রধান (head of state) এবং ১০ জন বিভিন্ন দেশের রাজা-রানী এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি (Volodymyr Zelenskyy)।

পোপ ফ্রান্সিস, যিনি প্রায় এক যুগ ধরে ক্যাথলিক চার্চের (Catholic Church) প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, গত সোমবার ৮৮ বছর বয়সে মারা যান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন এবং গুরুতর নিউমোনিয়ায় (pneumonia) আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

শুক্রবার (Friday) স্থানীয় সময় রাত ৮টায় পোপের কফিন (coffin) বন্ধ করার একটি বিশেষ আনুষ্ঠানিকতা অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে সিনিয়র কার্ডিনালরা (cardinals) উপস্থিত থাকবেন। এই অনুষ্ঠানের মূল দায়িত্বে থাকবেন কার্ডিনাল কেভিন ফারেল (Cardinal Kevin Farrell), যিনি নতুন পোপ নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত ভ্যাটিকানের দৈনন্দিন কাজকর্ম দেখাশোনা করছেন।

এদিকে, শেষকৃত্যানুষ্ঠানে (funeral ceremony) যোগ দিতে আসা মানুষের ঢল নেমেছে সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায় (St Peter’s Basilica)। গত কয়েক দিন ধরে হাজার হাজার মানুষ দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে প্রয়াত পোপকে শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন।

ইতালির (Italy) নিরাপত্তা বাহিনী ইতিমধ্যেই সেন্ট পিটার্স স্কয়ারের (St Peter’s Square) আশেপাশে নিরাপত্তা জোরদার করেছে। আকাশে ড্রোন (drone) ওড়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে স্নাইপার (sniper) মোতায়েন করা হয়েছে।

পোপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পর তার মরদেহ (body) সান্তা মারিয়া ম্যাজিওরের (Santa Maria Maggiore) একটি বিশেষ স্থানে সমাহিত করা হবে। এরপর রবিবার থেকে সাধারণ মানুষ সেখানে গিয়ে পোপের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন।

পোপের মৃত্যুর পর এখন সবার দৃষ্টি নতুন পোপ নির্বাচনের দিকে। খুব শীঘ্রই কার্ডিনালদের (cardinals) অংশগ্রহণে একটি কনক্লেভ (conclave) অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে নতুন পোপ নির্বাচিত হবেন।

নিয়ম অনুযায়ী, পোপের মৃত্যুর ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে এই কনক্লেভ (conclave) অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।

ক্যাথলিক চার্চের ইতিহাসে (Catholic Church) পোপ ফ্রান্সিস একজন সংস্কারক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি সমাজের প্রান্তিক এবং দুর্বল মানুষের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিয়েছেন।

তাঁর প্রয়াণে বিশ্বজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে এবং বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা শোক প্রকাশ করেছেন।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *